বরিশালে ১০ দিনের ব্যবধানে পিঁয়াজের দাম দ্বিগুণ,ক্ষুব্ধ ক্রেতার,আশংকা ব্যবসায়ীদের

বরিশালে ১০ দিনের ব্যবধানে পিঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আগে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে পাইকরী বিক্রি হওয়া প্রতি কেজি পিঁয়াজ গতকাল বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। যা খুঁচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। বাজারে বিপুল পরিমাণ পিঁয়াজের মজুদ থাকার পরও অযৌক্তিকভাবে পিয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কোন কারন খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রেতারা। যদিও দাম বৃদ্ধির নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন বেপারী ও আড়তদাররা।
গতকাল বরিশালের পিঁয়াজপট্টিতে গিয়ে দেখা গেছে, আমদানী করা এলসি পিয়াজ পাইকরী বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি দরে। দেশী পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ১ টাকা কমে। যা খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
ক্রেতারা জানান, সিমীত আয়ে এত টাকা দিয়ে পিঁয়াজ কিনে খাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষের। অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজনের চেয়ে পরিমানে কম কিনছেন তারা। বাজারে প্রচুর মজুদ থাকার পরও অযৌক্তিকভাবে পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। পিঁয়াজ সহ অন্যান্য নিত্য পন্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে সরকারকে কঠোর নজরদারীর আহ্বান জানিয়েছেন সাধারণ জনগণ।
এদিকে পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধিার কারন হিসেবে বেপারী ও আড়তদারা বলছেন, দেশে উৎপাদিত পিয়াজের প্রায় অর্ধেক পঁচে গেছে। দেশে উৎপাদিত পিঁয়াজ দিয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। ভারতে গত ৩ বছর বছর ধরে বন্যায় পিঁয়াজ পঁচে যাওয়ায় ওই দেশে পিঁয়াজের দাম বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ। আসন্ন মৌসুমে দেশীয় নতুন পিয়াজ বাজারে আসার আগ পর্যন্ত পিয়াজের বাজার এভাবে অস্থিতিশীল থাকবে বলে আশংকা করেন তারা।