বরিশালে ১৫ স্থানে নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে

বরিশাল জেলাসহ বিভাগের ১৫ স্থানে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চতুর্থ দিনের মতো কীর্তনখোলা নদীর জোয়ারের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে নগরীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চতুর্থ দিনের মতো কীর্তনখোলার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে নগরীর নি¤œাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। এতে নগরীর পলাশপুর, মোহাম্মদপুর, রসুলপুর, ভাটিখানা, আমানতগঞ্জ, সদর রোড, প্যারারা রোড, আগরপুর রোড সহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার সড়ক, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোথাও হাঁটু পানিতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।
পানি উন্নয়ন বোর্ড দক্ষিণাঞ্চল জোনের প্রধান প্রকৌশলী মো. হারুন-অর রশিদ জানান, বরিশাল বিভাগের ১২৫টি নদ-নদীর মধ্যে বেশীরভাগ নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বিভাগের ১৫টি নদীর ১৭টি পয়েন্টে পানি পানির উচ্চতা পরিমাপ করে উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে ১৫টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের জানিয়েছে, গত ২০ বছরের মধ্যে কীর্তনখোলা নদীর পানি গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ লেভেল অতিক্রম করে। ওইদিন কীর্তনখোলা নদীর পানির উচ্চতা ছিলো ৩.৭ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে কীর্তনখোলার নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টায় কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকেলে নদীর পানি বাড়লেও পরিমাপ জানাতে পারেননি পাউবো’র মিটার গেজ রিডার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম।
শুধু নগরী নয়, বিভিন্ন নদ-নদীর জোয়ারের পানিতে বিস্তির্ণ এলাকা তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসলী জমি, পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে বহু ঘেরের মাছ। পানির কারণে নদী তীরবর্তী এলাকায় মানুষ বিপাকে পড়েছেন। তবে জোয়ারের পানিতে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এখন পর্যন্ত নিরুপন করেনি স্থানীয় প্রশাসন।