বরিশালের গানের পাখি জলিল আর নেই

বরিশালের গানের পাখি জলিল আর নেই

বরিশালে এই সময় যারা গানের সঙ্গে যুক্ত তাদের সবার কাছে পরিচিত মুখ জলিল। অনেকের জলিল ভাই, কারো কাছে আবার গানের শিক্ষক জলিল, সব ছাপিয়ে কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ করা সদালাপী মানুষ এমএ জলিল, আমাদের কাছে অনন্য এক গানের পাখি জলিল আর নেই।

গতকাল শনিবার ভোর রাতে তার নিজ বাসভবনে হঠাৎ বুকে ব্যাথা বলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ পুত্র, ১ মেয়ে, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে বরিশালের সঙ্গতাঙ্গনসহ সর্বস্তরে শোকের ছায়া নেমে আসে।

বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের পল্লীগীতি শিল্পী এমএ জলিল বরিশালের মানুষের মন জয় করেছেন তার সহজাত ব্যবহার এবং সুরের মুর্ছনায়। সঙ্গীত শিল্পী এমএ জলিল দীর্ঘদিন চতুরঙ্গ সঙ্গীত বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময় তিনি সুরলহরী সংগীত বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সুরলহরী সংগীত বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সুরলহরী সংগীত বিদ্যালয় বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সদস্য সংগঠন।

শনিবার জোহর বাদ নগরীর বাজার রোডে খাজা মাইন উদ্দিন মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে নগরীর আমানতগঞ্জ কাজীর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

সংগীত পাগল এমএ জলিল পেশায় একজন দলিল লেখক ছিলেন। তবে সেই পরিচয়ে তিনি তেমন একটা পরিচিত ছিলেন না। তিনি বরিশালের মানুষের কাছে সংগীত শিল্পী জলিল হিসেবেই পরিচিত ছিলেন এবং আছেন। 

সংগীত শিল্পী এমএ জলিলের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, খেয়ালী গ্রুপ থিয়েটার, সুল লহরী সংগীত বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। 

সংগীত শিল্পী এমএ জলিলের আত্মার শান্তি কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে দৈনিক ভোরের আলো পরিবার, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বরিশাল জেলা সংসদ, বরিশাল নাটক, বরিশাল পিরোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।