বর্তমানে যেকোনো অপরাধ রোধ করতে সক্ষম পুলিশ

বর্তমানে যেকোনো অপরাধ রোধ করতে সক্ষম পুলিশ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, প্রযুক্তির কারণে বর্তমানে যেকোনো অপরাধ রোধ করতে সক্ষম পুলিশ। ভিপিএন কানেকটিভিটি বাস্তবায়নের ফলে পুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ করা সম্ভব হয়েছে। বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয়ের গোপনীয়তা নিশ্চিতকরণসহ নির্ভুল তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে সব সেবা সঠিকভাবে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

বুধবার পুলিশের এক হাজারটি অফিসে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) কানেকটিভিটির হস্তান্তর ও উদ্বোধনীর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইনফো-সরকার তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভিপিএন অবকাঠামোটি পুলিশের অভ্যন্তরীণ গুরুত্বপূর্ণ ও গোপনীয় তথ্যের নিরাপত্তা এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। প্রকল্পের আওতায় স্থাপিত কানেকটিভিটির মাধ্যমে এক হাজারটি অফিস হতে পুলিশের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারসমূহ নির্বিঘেœ ও নিরাপত্তার সঙ্গে ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় পিআইএমএস সফটওয়্যার, তদন্তের গুণগতমান উন্নয়নে অপরাধী ও অপরাধ চিহ্নিতকরণ এবং উদঘাটনে সিডিএমএস সফটওয়্যার, বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের তথ্যাদি যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য সিআইএমএস সফটওয়্যার ব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, পুলিশের সক্ষমতা বেড়েছে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে বলেই জনগণ পুলিশ থেকে সর্বাধিক সেবা পাচ্ছে। দক্ষ, প্রযুক্তিনির্ভর ও জনবান্ধব পুলিশ গড়াই আমাদের লক্ষ্য।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনার অন্যতম কার্যক্রম এটি। এ কার্যক্রমের পাশাপাশি আমরা অনলাইনে জিডি করার পাইলট প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আমরা সংশ্লিষ্টদের পাইলটের ডেমো দেখিয়েছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ে সারা দেশের থানাগুলোতে এ অনলাইন জিডির প্রযুক্তিটি পুলিশের হাতে তুলে দিতে পারব।

উল্লেখ্য, ইনফো-সরকার তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন অনুযায়ী ‘জাতীয় অগ্রাধিকার প্রকল্প’ হিসেবে ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকটিভিটি প্রদান কার্যক্রম শতভাগ শেষের পথে। তাছাড়া প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬০% ভৌগোলিক এলাকার প্রান্তিক গ্রামীণ জনপদের প্রায় ১০ কোটি জনগণের উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। ২০২১ সালে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহক ২.২৫% থেকে ১২%-এ উন্নীত হবে। ফলে জিডিপি ১% বৃদ্ধি পাবে।


ভোরের আলো/ভিঅ/০৫/২০২০