জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেছেন, এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য শেখ হাসিনা তার আরামকে হারাম করে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন সবকিছুই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রোববার (১৯ মে) জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আমু। আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটি ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্বে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি। অর্থনৈতিক মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে যখন তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করছেন, ঠিক তখনই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপর এই দেশের ইতিহাসকে পেছনের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। গণতান্ত্রিক অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল বাংলাদেশকে একটি অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী বাংলাদেশ বানানো এবং নব্য পাকিস্তান সৃষ্টির পথে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা হয়।
আওয়ামী লীগের এ বর্ষীয়ান নেতা বলেন, শেখ হাসিনার অর্জন এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে দেওয়া। শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় রক্তপাত ছাড়া দেশকে সামরিক শাসনমুক্ত করেছেন। গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। আমরা জানি কোনো দেশে যদি সামরিক জান্তা ক্ষমতা দখল করে, সেই দেশে বিনা রক্তপাতে, বিনা যুদ্ধে ক্ষমতা নেওয়া যায় না। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নেতৃত্বের কারণেই সামরিক জান্তা স্বৈরশাসকের হাত থেকে রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর সম্ভব হয়েছে।
আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়েছেন, দেশ দিয়েছেন। এই দেশের সীমানা সমস্যা সমাধানের আগেই বঙ্গন্ধুকে হত্যা করা হয়। এই দেশের স্থল সীমানা, জলের সীমানা ছিল না। সেই সীমানার সমস্যা সমাধান, সীমানা নির্ধারণ করলেন শেখ হাসিনা। তিনি ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি বাস্তবায়ন করলেন। পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ৩৫ বছরের রণাঙ্গনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করলেন। মাতৃভাষা বাংলার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায় করলেন শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং উপ-কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও লেখক হারুন হাবীব। সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ, অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার প্রমুখ।