বানারীপাড়ায় চেয়ারম্যানের অনিয়ম, দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন

বানারীপাড়ায় চেয়ারম্যানের অনিয়ম, দুর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ৩ নম্বর সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান মৃধার বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যাপারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার দুপুরে বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের আউয়ার বাজারে ওই মানববন্ধন পালন করে ইউনিয়নের সাধারণ নাগরিকরা।

ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টুর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বানারীপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এইচ এম হাফিজুর রহমান মামুন, সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মৃধা, সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা বজলুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মৃধা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আলী আকবর, ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফারুক হোসেন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান লালন,  প্রমুখ।

এসময় বক্তারা সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মন্নান মৃধাকে সুদখোর হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে র মতো দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানকে পুনরায় নৌকার মনোনয়ন দেয়া হলে এই সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের নৌকার কোন অস্তিত্ব থাকবে না।
তারা বলেন, মানবতার মা শেখ হাসিনার নৌকার মনোনায়ন নিয়ে এখানে কাজের নামে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি করেছে মন্নান মৃধা। পাশাপাশি সে দলীয় শৃঙ্খলাও ভঙ্গ করেছে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের সৈয়দকাঠী এলাকায় থাকতে দেয়া হবে না।

এসময় বক্তারা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ইতিমধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মন্নান মৃধা বলে বেড়াচ্ছেন তিনি নাকি টাকার বিনিময়ে নৌকার মনোনয়ন কিনে এনে তার ঘাটে বেধে রেখেছেন। কিন্তু কারা এই মনোনায়ন বিক্রি করেছেন এ বিষয়টি সকলে জানতে চায়। আর তা না হলে দলের নামে মিথ্যাচার রটানোর সাজা তাকে দেয়ার দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ইউনিয়নে বর্তমানে নয়জন নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, তাদের ভেতর থেকে যাকেই দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া হবে বাকি ৮জন সেই নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেবেনে। এরআগে গত ৮ ডিসেম্বর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগ এনে স্থানীয়রা জেলা প্রশসাকের নিকট লিখিত অভিযোগও দেন।