এবছর ১৬জুন বাবা দিবস। এই বিশেষ দিনগুলিতে আমরা অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দে পরে যাই। এই বিশেষ দিনে কী উপহার দেয়া যায়? আর মানুষটি যেহেতু বাবা, তাই সন্তানের চিন্তার তো আর শেষ নেই।
আপনি নিশ্চই জানেন বাবার পছন্দ অপছন্দ। তাই এই বিশেষ দিনে এমন কোনো কাজ করতে পারেন যা করলে আপনার বাবা অনেক খুশি হয়ে যেতে পারে।
যেমন ধরা যাক, আপনি অনেক অগোছালো, আপনার রুমে প্রবেশ করলে দম অন্ধ হয়ে আসার অবস্থা। যা নিয়ে রোজ মা অথবা বাবার বকুনি হজম করতে হয়। ঠিক এই বিশেষ দিনটাতে নিজের হাতে ঘরটি গুছিয়ে বাবাকে চমকে দিতে পারেন চোখ দুটি বন্ধ করে আপনার ঘরে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে। আর বাবাকে কথা দিতে পারেন- বাবা আমি এখন থেকে সবসময় আমার ঘর গুছিয়ে রাখবো। বাবা দিবসে এটা তোমার উপহার। দেখবেন তাতে আপনার বাবা কতটা খুশি হয়ে যায়।
আবার আপনার যদি থেকে থাকে কোনো বদ অভ্যাস, যা বাবার একদমই পছন্দ না, এরকম কোনো অভ্যাস এই বিশেষ দিনে বাবার জন্য ছেড়ে দিতে পারেন আর কখনো তা না করার শপথ নিয়ে।
বাবার পুরোনো চশমাটা ভেঙে অথবা নষ্ট হয়ে থাকলে চশমাটা ঠিক করে দিন অথবা নতুন একটা চশমা নিয়ে দিন।
পরিবারের সবাই মিলে কোথাও গিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই বাবাকে চমকে দিয়ে। আগে থেকে সব পরিকল্পনা বাবার অগোচরে করে নিয়ে। হোক সেটা কাছেধারে কোথাও ঘুরতে যাওয়া বা দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়া।। চাইলে পরিবারের সবাই মিলে বাইরে কোথাও লাঞ্চ অথবা ডিনার করে আসতে পারেন।
আর আপনি যদি থেকে থাকেন বাবার কাছ থেকে দূরে, তাহলে একটু সময় বের করে বাবার সাথে দেখা করে আসুন। এর চেয়ে বড় উপহার বাবাদের কাছে আর হয় না। যদি থেকে থাকেন দেশের বাইরে, তাহলে ফোন করে বাবাকে শুভেচ্ছা জানানা, খোঁজ খবর নিন।
এছাড়াও এই বিশেষ দিনটিকে কেন্দ্র করে অনেক ব্র্যান্ড বা দোকান টি শার্ট, শার্ট, মগ , ঘড়ি ওয়ালেট, মানিব্যাগ ইত্যাদি উপহার সামগ্রীর আয়োজন করে থাকে। বাবার পছন্দ অনুযায়ী এগুলোও দিতে পারেন।
আর হ্যাঁ, ব্যস্ততার কারণে যদি একদমই কিছু করার সময় না পান, তাহলে একগুচ্ছ ফুল নিয়ে যান বাবার জন্য। ফুল যে কোনো বিশেষ দিনের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট উপহার।
এমনিতে বলা না হয়ে উঠলেও, এই বিশেষ দিনটিতে বাবাকে বলে দিন- বাবা তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আর আমরা তো জানি, বাবা-মায়েদের খুশি করতে খুব বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না।