বিটপুলিশিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান

বিটপুলিশিং কার্যক্রমকে আরও জোরদার করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর কাছে পুলিশের সেবা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ওই আহ্বান জানানো হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (উত্তর) বিভাগের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ওই আহ্বান জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. খাইরুল আলম।
সভায় উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. খাইরুল আলম বলেন, অকারণে থানায় কোন মামলা পেন্ডিং রাখা যাবে না। যথা সময়ে ওয়ারেন্ট তামিল করার জন্য অভিযান বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সমাজে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখা। কোন অবস্থাতেই যেন আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোন কিছুর বিনিময়ে প্রলুব্ধ হয়ে কাউকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা যাবেনা। মানবাধিকারকে সমুন্নত রেখে যথাযথ ভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রত্যক এলাকার বিট অফিসারকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। যেই জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন দেয়া হয়, সেই জনগণের প্রতি ন্যায় বিচার দিয়ে তাদের আস্থাভাজন হতে হবে। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমাজ থেকে সকল প্রকার অপরাধমূলক কার্যকলাপ দূর করতে চাই। অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে কোন নিরাপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। সততার সঙ্গে কাজ করলে জনগণ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হবে না। সমাজে কোন ঘটনাকে আমরা বড় বা ছোট করবো না। মামলার চার্জশীট দেয়ার ক্ষেত্রে সংঘটিত ঘটনার সঠিক চিত্র তুলে ধরতে হবে। জনগনের সেবার মান বৃদ্ধির কথা শুধু মুখে বললেই হবে না। সত্যিকার জনগণের সেবা দিয়ে প্রমান করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। মাদকের করাল গ্রাস থেকে আমাদের যুব সমাজকে বাচাতে হবে। সমাজের সকল প্রকার অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে সবাই মিলে কাজ করতে হবে। তাহলেই আমরা সত্যিকার জনবান্ধব পুলিশ হতে পারবো।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, এয়ারপোর্ট থানার সহকারী কমিশনার নাসরিন জাহান, কাউনিয়া থানার অফিসার ইসচার্জ মো. আজিমুল করিম, এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ বিন আলম, এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ মো. ফয়সাল, কাউনিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছগির হোসেন প্রমুখ।