বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

সারা দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তার কারণ ডিজেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে দেশজুড়ে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই ঘাটতি পূরণে সরকার আগামী এক সপ্তাহ সন্ধ্যার পর জোন ভিত্তিক এক ঘন্টা লোডশেডিং এর আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই ঘোষণার সঙ্গে সব ধরণের শপিংমল রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ রাখা, নামাজের সময় ছাড়া মসজিদের এসি বন্ধ রাখা এবং প্রর্থণা ব্যাতিত সকল উপাশনালয়ের এসি বন্ধ রাখাসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কিছুটা কষ্টকর হলেও সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তব সম্মত বলছেন অনেকে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সার্বিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে নজরদারী বাড়াতে হবে। তা না হলে কাজের কাজ কিছুই হবে না।
ইতিপূর্বে সরকার ঘোষণা দিয়েছিল রাত ৮টার পর সব ধরণের শপিংমল বন্ধ রাখার। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সেটা কার্যকর হয়নি। যেটুকু কার্যকর ছিল সেটা অতি সামান্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে। এই ঘোষণার পর সারা দেশে সরকারি বেসরকারি ব্যাংক বীমা সহ অনেক দপ্তরের ডিজিটালা সাইনবোর্ড সারারাত জ¦লতে দেখা গেছে। যার একটি সাইনবোর্ডের বিদ্যুৎ খরচ দিয়ে কয়েকটি মাঝারী ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আলো দেওয়া সম্ভব। অথচ সেগুলো বন্ধ করার কোন উদ্যোগ ছিল না। কোন প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এমন কোন নিদর্শন দেখা যায়নি। এবারও অনেকাংশে একই চিত্র। এবার যে মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাশনালয়ের এসি নিয়ন্ত্রণের যে ঘোষণা এসেছে, সেটাকে আবার কেউ কেউ ধর্মীয় খোলস পড়ানোর চেষ্টা করে চলেছেন। এগুলো বন্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কেবল ঘোষণা দিয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে না। এজন্য অবশ্যই মনিটিরিং এর আওতায় আনতে হাবে। তা না হলে অতি সাধারণ মানুষরা কেবল লোডশেডিং যন্ত্রণায় ভুগবে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ইতিবাচক কোন প্রভাব ফেলবে না।
এক্ষেত্রে অবশ্যই রাত ৮টার মধ্যে সব ধরণের দোকানপাট বন্ধ করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গে যেসব ব্যাংক বীমা, ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জাঁকজমকপূর্ণ ডিজিটাল সাইনবোর্ড রাতে জ¦লে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। এছাড়া ৫ ওয়াক্ত নামের পর মসজিদগুলো এবং প্রার্থণার পর মন্দিরসহ সকল উপাশনালয়ের এসি বন্ধ থাকে কি না সেটাও তদারকী করুন। তাহলেই কেবল সরকারের ঘোষণা কাজে আসবে। তাই কেবল লোডশেডিং এর ঘোষণা নয়, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিন।