বিশ্বকাপ দলে সৌম্য-শরিফুল

শেষ মুহূর্তে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জোড়া পরিবর্তন আনলো বাংলাদেশ। প্রথম ঘোষিত দল থেকে বাদ পড়লেন সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। তাদের জায়গায় রিজার্ভ থেকে মূল দলে ঢুকে গেলেন সৌম্য সরকার ও শরিফুল ইসলাম।
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দল থেকে বাদ পড়েন সৌম্য। ফেরেন নিউজিল্যান্ডে সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে। এই সিরিজের দুই ম্যাচে একাদশে সুযোগ পেয়ে ২১ বল খেলে ২৭ রান করেছেন এ বাঁহাতি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। এছাড়া বল হাতে এক ওভারে করে নিয়েছেন একটি উইকেট।
সৌম্যকে জায়গা করে দিতে বাদ পড়া সাব্বির দলে ফিরেছিলেন এশিয়া কাপ দিয়ে। প্রায় তিন বছর ফিরে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। উদ্বোধনী জুটির সমস্যা সমাধানে মেকশিফট ওপেনার হিসেবে খেলানো হয়েছে সাব্বিরকে। সেখানে চার ম্যাচে মাত্র ৮৬.১১ স্ট্রাইকরেটে ৩১ রান করতে পেরেছেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
চোটের কারণে এশিয়া কাপ খেলা হয়নি শরিফুলের। ফেরার পর খেলা চার টি-টোয়েন্টিতে ৮.৪৫ ইকোনমি ও ২৬.২০ গড়ে পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন এ বাঁহাতি পেসার। দুবাইয়ে আরব আমিরাতের বিপক্ষে নিয়েছিলেন ২১ রানে ৩ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
অন্যদিকে এশিয়া কাপ দিয়ে দলে ফেরা পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফ পাঁচ ম্যাচ খেলে ওভারপ্রতি ১০.৮৭ রান খরচ করে মাত্র তিন উইকেট নিতে পেরেছেন। এই পাঁচ ম্যাচের তিন ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ছয় বল মোকাবিলায় করেছেন ৪ রান। পাশাপাশি তাকে ফিল্ডিংয়েও খুব একটা তৎপর দেখা যায়নি।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এর আগে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি সৌম্য। তবে ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে চার ম্যাচ খেলে ৩০.৫০ গড় ও ৯০.৩৭ স্ট্রাইকরেটে করেছিলেন ১২২ রান। এর আগে ২০১২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে করেছিলেন ১০৭ রান। শরিফুলের অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা নেই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পরিবর্তিত স্কোয়াড: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, সৌম্য সরকার, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নুরুল হাসান সোহান (সহ-অধিনায়ক), নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, ইয়াসির আলি চৌধুরী, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেন চৌধুরী, নাজমুল হোসেন শান্ত ও হাসান মাহমুদ।