বিসিসি মেয়রের বাণী

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) এর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এ ইউনিটের সকল সদস্যকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আজকের এই দিনে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং কৃষককুলের নয়নমণি শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং ১৯৭১ সালের শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে।
মুজিববর্ষের স্লেøাগান ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ এই অঙ্গীকারকে হৃদয়ে ধারণ করে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ বরিশাল মহানগরবাসীর নিরাপত্তা বিধানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য স্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা ও অভ্যন্তরীণ শান্তি-নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণ। বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে একসাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিএমপি’র উদ্যোগে বরিশাল নগরীর প্রায় প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যা নগরবাসীর নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মানবতার মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার কর্তৃক দুর্নীতি, মাদক ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ নীতির আলোকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশকে আলোকিত মহানগর গঠনে আরো সমন্বিত ও গঠনমূলক প্রয়াস নিতে হবে। কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং ও ওপেন হাউজ ডে এর মাধ্যমে মহানগরীর সম্মানিত নাগরিকদের নিয়ে বিএমপি যে গণমুখী পুলিশিং ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে মানব কল্যাণে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আইন-শৃঙ্খলা, শান্তি ও নিরাপত্তা, প্রগতি, উন্নয়ন তথা সার্বিক কল্যাণে পুলিশের এ ইউনিট বরিশাল মহানগরের নাগরিক প্রত্যাশা পূরণে সক্ষম হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন ও মেট্রোপলিটন পুলিশের চলমান পারস্পরিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখার মাধ্যমে এ মহানগর একটি সুন্দর-পরিচ্ছন্ন ও নিরাপদ বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত হবে, এ প্রত্যাশা করছি।
পরিশেষে আমি বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক
সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ
মেয়র
বরিশাল সিটি করপোরেশন