বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার রায় রবিবার

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় রবিবার। সংশ্লিষ্ট আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আব্দুল্লাহ ভূঁইঞা রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২১ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষ হলে রায়ের জন্য এই দিন ধার্য করেন।
২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে, এ দাবি করে তাদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে, আসামিপক্ষের আইনজীবী জাহিদুর রহমান জাহিদ বলছেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ তার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই তার আসামি খালাস পাবেন।’
এই মামলায় ২২ আসামি কারাগার আছে, ৩ আসামি পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামিরা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তফা রাফিদ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী সময়ে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে মেরেছে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
একই বছরের ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আটজন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ২৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। এ মামলায় ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। গত ১৪ মার্চ এ মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামি আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে। অপর তিন আসামি পলাতক থাকায় শুনানি করতে পারেনি। এরপর কয়েকজন আসামি নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেয়। গত ৭ সেপ্টেম্বর মামলায় কিছু ত্রুটি থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ পুনরায় চার্জ গঠনের আবেদন করে। ৮ সেপ্টেম্বর আদালত ২৫ আসামির বিরুদ্ধে পুনরায় চার্জ গঠন করেন। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ শুনানিতে গ্রেপ্তারকৃত সকল আসামি আবারও নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন।
এদিকে, শনিবার নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারের মা রোকেয়া খাতুন সাংবাদিকদের বলেন, আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হত্যাকাণ্ড চলতেই থাকবে। আজ আমার ছেলে গেছে, কাল আরেক মায়ের বুক খালি হবে।