বোনের বাড়ি থেকে ফিরে পেলনা আর মা’কে

বোনের বাড়ি থেকে ফিরে পেলনা আর মা’কে

বাবুগঞ্জের সন্ধ্যা নদীর নালা থেকে মরিয়ম বেগম (৪০) নামে ৫ সন্তানের জননীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছেন থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পূর্ব ভূতেরদিয়া গ্রামের লাশঘাটা নামক এলাকার সন্ধ্যা নদীর নালা থেকে মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করেন বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত মরিয়ম বেগম পূর্ব ভূতেরদিয়া গ্রামের মৃত মোঃ হারুন হাওলাদার’র স্ত্রী। নিহত মরিয়ম বেগম ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে সন্তানের জননী। গত দুই বছর আগে তার স্বামী মৃত্যু বরণ করেন। ২ ছেলে চাকরি করেন এবং ২ মেয়েকে বিবাহ দিয়েছেন। ছোট ছেলে মোঃ আসিফ ৫ম শ্রেণির ছাত্র। ছোট ছেলে মোঃ আসিফকে নিয়েই তিনি বাড়িতে বসবাস করতেন। 

স্থানীয়রা বলছেন, বুধবার সন্ধ্যার পরে আসিফ পার্শবর্তী সরিকল ইউনিয়নে তার ছোট বোনের শশুর বাড়িতে বোনকে আনতে যায়। বাড়িতে একা থাকার সুবাদে দুর্বৃত্তরা রাতের কোন এক সময় তাকে হত্যা করে লাশ বাড়ি থেকে প্রায় ১৫০ গজ দূরে সন্ধ্যা নদীর লাশঘাটা নামক স্থানের একটি নালায় ফেলে রাখে। হয়তো মরিয়মকে পরিকল্পিত ভাবে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং ধর্ষককে চিনে ফেলায় প্রমান মুছে ফেলতে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

পূর্ব ভূতেরদিয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, নিহতের প্রতিবেশী আনিচ হাওলাদার’র স্ত্রী জাহানারা বেগম বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে দশটার দিকে মরিয়মের ঘরে যান এবং নাম ধরে ডাকাডাকি করেন। ঘরের দরজা খোলা দেখে তিনি ভিতরে প্রবেশ করেন কিন্তু মরিয়ম বেগমের কোন সাড়া পাচ্ছিলেন না। এসময় তিনি ঘরের বেড়া ভাঙা এবং ঘরের বাহিরে রক্ত দেখতে পেয়ে হাসানকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করেন। হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থা দেখে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। তারা রক্তের দাগ অনুসরণ করে বাড়ি থেকে প্রায় ১৫০গজ দূরে লাশঘাটা নামক এলাকার সন্ধা নদীর একটি নালায় মরিয়মের বিবস্ত্র লাশ দেখতে পান। 

বাবুগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাহাবুবুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের মাথায় গভীর ক্ষত চিহ্ন আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা তাকে মেরে নালায় ফেলে দিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।