ভাঙ্গায় পিকাপসহ অপহৃত ৩জনকে উদ্ধার, ৫জন আটক

ভাঙ্গায় পিকাপসহ অপহৃত ৩জনকে উদ্ধার, ৫জন আটক


টাঙ্গাইলের শফিপুর থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে ফরিদপুরের হামিরদী ব্রীজ এলাকায় মুরগী বোঝাই পিকাপসহ ৩ অপহৃতকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। অপহরণের কয়েক ঘন্টা পর ৫ অপহরনকারীকেও আটক করা হয়েছে।

গত সোমবার ভোরে ভাঙ্গা এলাকার হামিরদী গ্রাম থেকে ওই ৫ অপহরকারীকে আটক এবং অপহৃতদের উদ্ধার করে র‌্যাব। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওইদিনই ভাঙ্গা থানায় সোপর্দ করা হয় বলে জানায় র‌্যাব। এ ঘটনায় মুরগীর মালিক মো. পিন্টু বাদি হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

 মঙ্গলবার বেলা ১১টায় র‌্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্প থেকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মুরগী ব্যবসায়ী মো. পিন্টুসহ ৩জন ব্যক্তি টাঙ্গাইলের শফিপুর থেকে মুরগী নিয়ে একটি পিকাপে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো। গত সোমবার ভোর রাতে পিকাপটি ফরিদপুর-ভাঙ্গা মহাসড়কের হামিরদী ব্রীজ এলাকা অতিক্রমকালে একদল দুর্বৃত্ত তাদের গতিরোধ করে এবং সংশ্লিষ্টদের মারধর করে মুরগী বোঝাই পিকাপসহ তাদের ৩জনকে অপহারণ করে নিয়ে যায়।

 খবর পেয়ে র‌্যাব মাদারীপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ দল ওইদিন সকালে হামিরদী গ্রামে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের হোতা মাদারীপুরের শিবচরের করিম হাওলাদারকান্দির মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মুরাদ হোসেন ও তার ভাই রাশেদ মিয়া, মহিম খা’র ছেলে রাসেল খা, মোবারক হাওলাদারের ছেলে সোহাগ হাওলাদার এবং সাদেক আলী মোড়লের ছেলে ইমরান হোসেন শাহজাহানকে আটক করে। এ সময় তাদের জিম্মা থেকে অপহৃত মুরগী ব্যবসায়ী পিন্টু, সবুজ হাওলাদার ও সাইদুল গাজী এবং মুরগী বোঝাই পিকাপটি উদ্ধার করেন।

 র‌্যাব জানায়, পিন্টু ও আটক মুরাদ হোসেন আগে একত্রে মুরগীর ব্যবসা করতো। ব্যবসায়িক লেনদেনজনিত কারণে তাদের ব্যবসা আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু তাদের ব্যবসায়িক লেনদেন অমিমাংসিত থাকে। এর জের ধরে মুরাদ পিন্টুর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ওই মুরগী বোঝাই পিকাপ ছিনতাই করে বলে র‌্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।