ভোলায় আলতু বাহিনীর তান্ডব, ওসি এনায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

ভোলায় আলতু বাহিনীর তান্ডব, ওসি এনায়েতের বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

ভোলার কুখ্যাত দস্যু আলতু বাহিনী ও লক্ষীপুরের হারিস, শাহজালাল বাহিনীর হামলায় ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব ভোলার চরের অসংখ্য পরিবার। সন্ত্রাসীদের এমন নারকীয় তান্ডবে একটি এগ্রো ফার্ম, চরবাসীর কোটি টাকা মূল্যের গবাদিপশু, সম্মিলিত হাঁস লালন পালন প্রকল্পের এক হাজারের বেশি হাঁস লুটপাটের পর আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রটি। তারা শত শত একর জমির পাকা ধান কেটে নিয়ে ক্ষান্ত হয়নি বরং অসংখ্য নীরিহ পরিবারকে উৎখাত করার চূড়ান্ত নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছে। তারই ফলশ্রুতিতে চরবাসীর শেষ আশ্রয়স্থল মাথা গোঁজার ঠাঁই বসতবাড়ি ঘর সবকিছু ভেঙেচুরে লুটে নিয়ে বিরাণ ভূমিতে পরিণত করেছে।

সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়াসহ নানা অভিযোগ উঠেছে ভোলা সদর থানর ওসি মো. এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে। হামলার শিকার ও গবাদি পশু, খেতের ফসল এবং বসতবাড়ি হারানো স্বজনরা মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। পরবর্তীতে আদালতে মামলা দায়ের করতে হয়েছে। এমনকি সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার কিংবা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সন্ত্রাসের শিকার চারবাসীকে মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে এমন অভিযোগও উঠেছে ওসির বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে ভোলার একাধিক ব্যক্তির দাবি, ভোলার চর নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এদের এক পক্ষ সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদের অনুসারী। তাই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না এমন অভিযোগও করছেন কেউ কেউ।

গত ২৩ নভেম্বর ২০২০ ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেন রহস্যময় কারণে ভোলার চরে যাওয়ার পর থেকেই এরকম নারকীয় তান্ডব লীলা হয়েছে দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো। তখন থেকেই সদর থানার ওসির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের পাহাড় জমা হতে থাকে। আলতু বাহিনীর প্রধান আলতু ডাকাতের সঙ্গে থানা পুলিশের অনেক সখ্যতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কেউ কেউ। এমনকি মামলার প্রধান আসামী আলতু ডাকাতসহ  একাধিক আসামীরা থানায় অবাধ বিচরণ ও তাদেরকেক গ্রেপ্তার না করার কারণ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. ফরিদ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১ থেকে ২০ নং আসামিগণ আগাম জামিনে আছেন কিন্তু এর স্বপক্ষে তিনি কোনো প্রকার প্রমাণ দেখাতে পারেননি। সাম্প্রতিক তারা কেউ কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। আবার কেউ কেউ বেড়িবাঁধের উপরে টংঘর পেতে অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তাদের উপরে এমন ন্যাক্কারজনক হামলার কারণ জানতে চাইলে সন্ত্রাসীদের নির্মম নির্যাতনের রোমহর্ষক বিবরণী দিতে গিয়ে অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

তারা বলেন, আলতু ডাকাত একজন দুধর্ষ জলদস্যু ও ভূমিদস্যু। একাধিক ডাকাত দলের সে নেতৃত্বে দেয়। মেঘনা নদীতে মাছ আরোহণকারী জেলে ও ভোলা, লক্ষীপুর, রায়পুর, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ইত্যাদি এলাকার চরাঞ্চলের বাসিন্দাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, লুটপাট করাই তাদের নেশা ও পেশা। আলতু ডাকাতের নির্যাতনের কবল থেকে মুক্তি পেতে চরবাসী দীর্ঘদিন যাবত দ্বারে দ্বারে ঘুরে প্রতিকার চেয়েও কোন লাভ হয়নি।

২০১৫ সালে অসংখ্য জেলে ও চরবাসী মিলিত হয়ে আলতু ডাকাতকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ভোলা জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ের সম্মুখে মানববন্ধন করে চরের বাসিন্দারা। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।  স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও টনক নড়েনি প্রশাসনের। দস্যু চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এই সন্ত্রাসী বাহিনী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে মেঘনার বুকে ভাসমান এসব চরাঞ্চল গুলোকে। আর এসব জনপদে কেউ আলতু বাহিনীর বিরুদ্ধে গেলেই তার উপর নেমে আসে অত্যাচারের স্টীম রোলার। নিজস্ব টর্চার সেলে অসংখ্য নিরীহ জেলে ও সাধারণ কৃষকদেরকে আটক করে নির্যাতনের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এক সময়ের আলতু মাঝি এখন ডাকাত সম্রাট। মেঘনার নিরীহ জেলেদের নিকট এক আতংকিত নাম।

এই সন্ত্রাসী বাহিনী আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে চরাঞ্চলগুলোকে। আর এসব জনপদে কেউ আলতু বাহিনীর বিরুদ্ধে গেলেই তার উপর নেমে আসে অত্যাচারের স্টীম রোলার। নিজস্ব টর্চার সেলে অসংখ্য নিরীহ জেলে ও সাধারণ কৃষকদেরকে আটক করে নির্যাতনের পর মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এক সময়ের আলতু মাঝি এখন ডাকাত সম্রাট। মেঘনার নিরীহ জেলেদের নিকট এক আতংকিত নাম। তার নিকট থেকে নিয়মিত উৎকোচ গ্রহণ করে ভোলা শহরের অনেক কর্তারা। এসব কর্তাবাবুদের কেউ কেউ তাকে মাদবর সাহেব বলেও ডাকেন। বড় কর্তাদের এবং ক্ষমতাসীন দলের কিছ সংখ্যক নেতা ম্যানেজের কাজ করছেন রাজাপুর ইউপির ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার ওহাব আলী চৌকিদার। এসব সন্ত্রাসীদের মাষ্টারমাই- হিসেবে পরিচিত ওয়াহ আলী চৌকিদার। তার পুত্র সাদ্দাম সাম্প্রতিক আলতু বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও নারীদের সম্ভ্রমহানিসহ নানাবিধ অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে।

ভোলার চরের খান এগ্রো ফার্ম লিমিটেডের স্বত্বাধীকারী মাহমুদুল হক রাসেল খান বলেন, ২০২০ সালের ১৭ জুলাই ভোলার আলতু বাহিনী এবং লক্ষীপুরের হারিস ও শাহজালাল বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ভোলার চরে আমাদের গরুর খামার, মাছের আড়ৎ ও মুদি দোকানে দুর্ধর্ষ ডাকাতি করে আমার ভাই শাহিন খান, মিন্টু খান ও আমাদের কর্মচারী করিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে নগদ টাকা মালামাল ও ১৫টি গরু লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে ওসি মো. এনায়েত হোসেন মামলা রুজু না করায় বাধ্য হয়ে আমার ভাই শাহিন খান বাদি হয়ে ভোলার বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি ভোলাকে এফআইআর গ্রহণ করার নির্দেশ দেন যাহার নং জিআর ৪৬৩/২০। একই সঙ্গে এমন চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনায় মামলা রুজু না করায় ওসি ভোলাকে সতর্ক করেন বিজ্ঞ আদালত।

এরপরেও থানা পুলিশ দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। উল্টোদিকে আলতু বাহিনীর অপর এক সদস্য আলতু ফরাজির দায়ের করা একটি মিথ্যা ডাকতি মামলায় পুলিশ আমাদেরকে হয়রানি করে আসছে। যাহার নং জিআর ৪৫০/২০। জনৈক  আলতু ফরাজীর দায়ের করা মিথ্যা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মিন্টু খানকে অথচ মামলায় দেখানো ঘটনার তারিখ ২১ জুলাই ২০২০, মিন্টু খান  বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। মামলার অপর আসামি শাহিন খান বাদী হয়ে ঐদিন ভোলা কোর্টে ১৭ জুলাইয়ের ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত চক্রের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ এর পরে এমন ভিত্তিহীন মামলাটি চলমান রেখে একের পর এক গ্রেপ্তার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশের এমন খামখেয়ালীপনার কারণেই মূলত দস্যুরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

রাসেল খান আরো বলেন, মূল ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর ২০২০ আমি ঢাকাতে ছিলাম ঐদিন ঢাকা থেকে ওসি ও এসপি সাহেবের সঙ্গে একাধিক বার কথা বলেছি। আমার অপর দুই ভাই মো. শাহিন খান ও মো. আমান উল্লাহ যথাক্রমে খুলনা ও সিলেটে ছিল। ঐদিন শুধু আমার ভাই মিন্টু খান আমাদের চরের বাড়িতে ছিল। সন্ত্রাসীরা আমার ভাই মিন্টু খান ও আমার মা, বোন এবং আমাদের খামারের তত্ত্বাবধায়ক আ. কাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতাল পরবর্তীতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো ওসি সাহেব ও সন্ত্রাসীরা যোগশাজসে আমাকে প্রধান আসামি করে আমাদের চার ভাইয়ের নামে মিথ্যা অপহরণ মামলা রুজু করে। আমরা তিন ভাই যে ঐদিন ভোলার চরে ছিলাম না তাহা সিসি টিভি ফুটেজ ও যাবতীয় প্রমাণাদিসহ আদালতে পেশ করবো।

চরবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, ভোলা থানার ওসি মো. এনায়েত হোসেন আলতু ডাকাত ও ওহাব আলী চৌকিদার দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কারণে তারা ডাকাতি মামলার (আলতু, ওহাব) আসামি থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে গ্রেপ্তার না করে উল্টো তাদের সঙ্গে একই স্পীড বোটে ভোলার চরে আসেন।  এমনকি থানা পুলিশ চরে আসার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীদের স্পীড বোট ও ট্রলারযোগে চরে জড়ো হতে থাকে। তাদের  উপস্থিতিতে চরবাসীর মালামাল লুটপাট করা, কালাম বেপারীকে মারধর করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।  চরবাসী সন্ত্রাসীদের লুটপাটের ঘটনার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করতে চাইলে ওসির সংগীয় ফোর্স দিয়ে তাদের নিকট থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়। চরবাসী পুলিশের এহেন নীরব ভূমিকার ঘটনা নিরুপায় হয়ে মোবাইল ফোনে পুলিশ সুপার ভোলাকে জানায়। তখন বাধ্য হয়ে পুলিশ সন্ত্রাসীদের কবল থেকে আহত অবস্থায় কালাম বেপারীকে উদ্ধার করে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়। তবে সন্ত্রাসীদে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান। ভোলার চর থেকে ওসি এনায়েত হোসেন চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীরা হিংস্র হায়েনার মতো নিরীহ নারী শিশু বৃদ্ধদের উপরে হামলে পরে। এমনকি চরবাসীর পক্ষ থেকে মামলা না নেয়া, উল্টো সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে চরবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণ মামলা রুজু করা। এসবই ছিল চর বাসীকে চিরতরে তাদের ভিটেমাটি থেকে উৎখাত করার জন্য ওসি মো. এনায়েত হোসেন ও সন্ত্রাসীদের নীল নকশা।

রাসেল খান আরো বলেন, মূল ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৩ নভেম্বর ২০২০ আমি ঢাকাতে ছিলাম ঐদিন ঢাকা থেকে ওসি ও এসপি সাহেবের সঙ্গে একাধিক বার কথা বলেছি। আমার অপর দুই ভাই মো. শাহিন খান ও মো. আমান উল্লাহ যথাক্রমে খুলনা ও সিলেটে ছিল। ঐদিন শুধু আমার ভাই মিন্টু খান আমাদের চরের বাড়িতে ছিল। সন্ত্রাসীরা আমার ভাই মিন্টু খান ও আমার মা, বোন এবং আমাদের খামারের তত্ত্বাবধায়ক আ. কাদেরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতাল পরবর্তীতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। আশ্চর্যের বিষয় হলো ওসি সাহেব ও সন্ত্রাসীরা যোগশাজসে আমাকে প্রধান আসামি করে আমাদের চার ভাইয়ের নামে মিথ্যা অপহরণ মামলা রুজু করে। আমরা তিন ভাই যে ঐদিন ভোলার চরে ছিলাম না তাহা সিসি টিভি ফুটেজ ও যাবতীয় প্রমাণাদিসহ আদালতে পেশ করবো।

সন্ত্রাসীরা ধারাবাহিক ভাবে চরে বসবাসকারী প্রায় ১৮টি পরিবারের যাযতীয় মালামাল লুটপাটের পর তাদের গরুর খামার ঘর, ছাগলের খামার ঘর, হাঁসের খামার ঘর, মুদি দোকান ঘর, মাছের আড়ৎ ঘর, এমনকি তাদের শেষ আশ্রয়স্থল মাথা গোঁজার ঠাঁই বসত ঘরগুলো ভেঙে চুরমার করে লুটে নিয়ে তাদেরকে উচ্ছেদ করে দিয়েছে। যেখানে মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল অথচ এর সবকিছু আজ বিরাণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এমন অবস্থায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও নিরাপদে নিশ্চিন্তে বসবাস করার নিশ্চয়তা চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী'র হস্তক্ষেপ কামনা করেন।