ভয়াবহ দরপতনে শেয়ারবাজার

ভয়াবহ দরপতনে শেয়ারবাজার

 

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সোমবার গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধসের শিকার হলো শেয়ারবাজার। এইদিন ছোট-বড় সকল শেয়ারের দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বড় রকমের হতাশা।

বাজারে সরকারি প্রতিষ্ঠান আইসিবিসহ কোনো প্রতিষ্ঠান সাপোর্ট না দেওয়ায় এদিন লেনদেন হওয়া ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম কমেছে ৩৬৪টিরই। তাতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১৮২ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৪৫৫ পয়েন্ট।

এর আগে অধ্যাপক খায়রুল হোসেনের কমিশনের মেয়াদে ২০২০ সালের ৯ মার্চ ডিএসইতে ২৭৯ পয়েন্টের পতন হয়েছিল। আর অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়ত-উল-ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সময়ে আজ বাজারে সবচেয়ে বড় দরপতন হলো।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দিনভর সূচক পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের ২০ কোটি ৬৮ লাখ ১৫ হাজার ৯৭৯টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ৩৬৪টির, অপরিবর্তিত রয়েছে আটটির দাম।
 
তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক ১৮২ দশমিক ১২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সূচক সাড়ে ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে চলে এসেছে। এদিন ডিএসইর অপর দুই সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৩৬ দশমিক ৬১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৬৪ পয়েন্ট।
 
ডিএসইতে এদিন লেনদেন হয়েছে ৭৪০ কোটি ২৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৫১ কোটি ৫৬ লাখ ৩১ হাজার টাকার শেয়ার।
 
এদিন সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার। এরপর ছিল বিএসসি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ওরিয়ন ফার্মা, ফরচুন সুজ, লাফার্জহোলসিম, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সাইফ পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা এবং ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড।
 
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৫৫ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে ১৮ হাজার ৯৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে ২৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৫৪, অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির দাম।
 
এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ২০ কোটি ৭১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩১ টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৭ কোটি ৮১ লাখ ৩১ হাজার ৯১৯ টাকার শেয়ার।