মঙ্গলবার ঢাকার থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি বিএনপির

মঙ্গলবার ঢাকার থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি বিএনপির

ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল শেষ হয়েছে। কর্মসূচীতে বিএনপির দুই পরাজিত মেয়র প্রার্থীর অংশগ্রহণে নয়া পল্টন এলাকায় নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ ছাড়া তেমন কোন পিকেটিং চোখে পড়েনি।

রোববার সকাল ৬টায় শুরু হওয়া নিরুত্তাপ হরতাল শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টায়। এ সময় রাজধানীর যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। তবে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার খবর পাওয়া গেছে। বন্ধ ছিল কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও। রাস্তা ছিল কিছুটা ফাঁকা। 

বিকেল ৪টার দিকে বিএনপি মহাসচিব হরতালে জনগণ সমর্থন জানিয়েছে দাবি করে মঙ্গলবার ঢাকার থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। 

নয়া পল্টনে বিএনপি প্রধান কার্যালয়ের সামনে অল্পসংখ্যক নেতাকর্মী বেষ্টিত হয়ে তিনি কিছুক্ষণ বসে থাকেন। এরপর নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। 

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে ধানের শীষের দুই মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন ছিলেন। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শ্যামা ওবায়েদ, আজিজুল বারী হেলাল, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, হারুনুর রশীদ, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, আনোয়ার  হোসেন, সুলতানা আহমেদ, আবুল কালাম আজাদ, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভ চলাকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, নির্বাচনের ফলাফলে যে পরিমাণ ভোট কাস্ট দেখানো হয়েছে, তার চাইতে অনেক কম ভোট কাস্ট হয়েছে। আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ সমর্থকরা সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দেয়নি।

তিনি বলেন, যে ফলাফল ঘোষণা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মনগড়া একটি সাজানো ফলাফল। এ ফলাফলের মাধ্যমে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। আমরা এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি।

ঢাকা উত্তর সিটিতে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন,  ন্যূনতম সুষ্ঠু কোনো ভোট হয়নি। এ রকম নির্বাচন আমরা কখনই প্রত্যাশা করেনি। আমরা এই ভোট চুরির নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করছি।