মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর ত্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন

মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর ত্রিপল মার্ডারের রহস্য উন্মোচন


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ধানিসাফা ইউনিয়নে নির্মমভাবে অটোচালক আয়নাল হক সহ স্ত্রী ও শিশুকন্যা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন। হত্যা সংঘটিত হওয়ার ৮ দিনের মাথায় মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ শাখার যৌথ অভিযানে এ রহস্য উন্মোচন করা হয়।

 শনিবার ৮ আগস্ট সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে মঠবাড়িয়া থানা চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোঃ হায়াতুল ইসলাম খান লিখিত বক্তব্যে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের অভিযানে ৮ আগস্ট রাত অনুমান ১ ঘটিকায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মোঃ অলি বিশ্বাস (৩৮), পিং- মৃত তোজাম্বর আলী বিশ্বাস, গ্রাম- ধানিসাফা হতে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরবর্তীতে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার সাথে জড়িত অন্য খুনি রাকিব বেপারী (২০), পিং- কাওসার বেপারীকে একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র ও লুণ্ঠিত মালামাল অলি বিশ্বাসের বসত বাড়ির পুকুর হতে উদ্ধার করেন। হত্যা মিশনে ব্যবহৃত ২ টি স্টিলের পাইপ, ১ টি রামদা, ১ টি দেশীয় দাও ও লুণ্ঠিত কিছু অর্থসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করা হয়।

কি কারনে অবুঝ শিশু সন্তানসহ এ পরিবারটিকে হত্যা করা সংবাদ সম্মেলনের শেষে সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে
পুলিশ সুপার বলেন, “এ চক্রটি দস্যুতা করার উদ্দেশ্যে অটো চালক আয়নাল হকের বাড়িতে সিঁধ কেটে প্রবেশ করে তারা মুলত আয়নাল হকের একই এলাকার পরিচিতজন। এক পর্যায়ে তাদের আয়নাল হক চিনে ফেলায় ফেঁসে যাবার ভয়ে গোটা পরিবারকে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপন, থানা অফিসার ইনচার্জ আবু জাফর মোঃ মাসুদুজ্জামান, ওসি তদন্ত আঃ হক সহ পিরোজপুর ডিবি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।

উল্লেখ্য গত ৩০ জুলাই রাতে মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাফা ইউনিয়নের ধানিসাফা গ্রামের ভাঙ্গাপুল নামক স্থানে ভাড়ায় থাকা একটি বসত বাড়িতে স্ত্রী খুকুমনি (৩০) অবুজ শিশু আসফিসা (৩) স্বামী মোঃ আয়নাল হক (৩৫) কে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে বসত ঘরের চালের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করে।