মঠবাড়িয়ায় পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার করলো চার নারী

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের টিয়ারখালী বাজারে কবলাকৃত ও পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধার করেছে চার নারী। নিজেদের সাহস ও দক্ষতা দেখিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনায় এসেছেন তারা। এরা হলেন-নিপা, দিপা, আয়শা ও পারুল বেগম।
মৌজা দক্ষিণ হলতা জেএল নং-৬২ খতিয়ান নং-৮২৩ দাগ নং-৬৯৪ জমির পরিমান ৩২ শতাংশ। কবলা সূত্রে জমির মালিক আনোয়ার হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, জাকির হোসেন, আবুল হোসেন ও মোসাঃ সালেহা বেগম। নিপা ও দিপা আনোয়ার হোসেনের কন্যা, আয়শা জাকির হোসেনের স্ত্রী এবং পারুল বেগম সালেহা বেগমের কন্যা।
জানা গেছে, উপরোল্লিখিত তফসিল সম্পত্তিতে ইউনিয়ন পরিষদ স্থাপনের জন্য কাদের দফাদার গং ৩৩ শতাংশ জমি দান করেন। কিন্তু ওই জমির অনুকূলে সঠিক কাগজপত্র না থাকায় ইউনিয়ন পরিষদ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি আদালতে গড়ালে আনোয়ার হোসেন গংদের পক্ষে ডিক্রি হয়। এরপর থেকে ওই জমি তাদের দখলে থাকে।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, ওই জমিতে একটি পাকা ঘর রয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনো শালিসি ব্যবস্থার জন্য টিয়ারখালী বাজারে আমাদের ওই ঘরটির চাবি নেয়। কিছুদিন পর সংস্কার কাজ শুরু করলে সন্দেহ হয় এবং আমরা আমাদের ঘর পুন:রায় দখলে নেই।
তারা আরও জানান, ১৯৮৮ সাল থেকে আমরা খাজনা পরিশোধ করে আসছি। সর্বশেষ ০৯/০৫/২০২২ খ্রি. তারিখে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রসিদ নং-৫৫৮৫২২। আমাদের জমির অনুকূলে আদালতের ২টি ডিক্রি আছে। ইউনিয়ন পরিষদ ভবন গুলিশাখালীতে। টিয়ারখালীতে কোন ইউনিয়ন পরিষদের জমি বা ভবন নেই।
গুলিশাখালী ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ কামাল হোসেন জানান, বিরোধীয় ওই জমিতে আনোয়ার হোসেন গংদের ৩২ শতাংশ জমি আছে। অন্যদিকে মনিন্দ্র মোহন নামে একজনের নামে ১০ শতাংশ জমি আছে। এক পক্ষ পাকা স্থাপনাটি মনিন্দ্র মোহনের জমিতে দাবি করে তা গুলিশাখালী সাব ইউনিয়ন অফিস হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। অন্যপক্ষের দাবি মনিন্দ্র মোহনের জমি ১০৯৪ খতিয়ানে যার হাল খতিয়ান নং-১০০৪০ ও ১০০০৩।
মঠবাড়িয়া উপজেলার ১০ নং হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনো জানান, কাদের দফাদার গং ইউনিয়ন পরিষদের জমিদাতা। আনোয়ার গং আদালতের মামলায় কাদের গংদের বিবাদী করেছে। ইউনিয়ন পরিষদকে বিবাদী করেনি। তাই ইউনিয়ন পরিষদের জমি মীমাংসিত অবস্থায়ই আছে।