মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

মঠবাড়িয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাবেক ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রেদোয়ান গোলদার (৩৮) কে ৯০ বছরের জুলেখা খাতুন নামের বৃদ্ধার আইডি কার্ডে সোমাইয়া আক্তার (৩৪) এর নাম বসিয়ে যৌতুকের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা নিয়ে তাকে গ্রেফতারের নামে থানা পুলিশ গভীর রাতে রেদোয়ান গোলদারের বসতবাড়িতে গিয়ে মা (মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী) সুলতানা রহমান ও স্ত্রীর সাথে অসোভন আচারণসহ আলমিরা, ওয়াড্রোপ ও বিভিন্ন মালামাল তছনছ করে এবং একটি কমলা রঙের সাইড ব্যাগ নিয়ে যায়। যার মধ্যে তাঁর প্রায়ত মুক্তিযোদ্ধা পিতার মূল্যবান কাগজপত্র সংরক্ষিতি ছিল। 

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে এঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মঠবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান রেদোয়ান গোলদার সংবাদ সম্মেলন করেন এবং সুষ্ঠ বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেণ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মঠবাড়িয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সহকারী কমান্ডার ও উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মোস্তফা শাহ আলম দুলাল, পৌর আ’লীগের সহ সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ফিরোজ হোসেন লিটন, উপজেলা সেম্বচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে রেদোয়ান বলেন, তাঁর মরহুম পিতা আজিজুল রহমান গোলদার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও তুষখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ও আমৃত্যু সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। রেদোয়ানও ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বরিশাল বিভাগ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছে। স্থানীয় প্রতিপক্ষরা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়পতিপন্ন করতে অচেনা অজানা এক ৯০ বছরের জুলেখা খাতুন নামের বৃদ্ধার আইডি কার্ডের নাম্বার (১৪৭১৬৫০২১৬) ব্যবহার করে সোমাইয়া আক্তার (৩৪) এর নাম বসিয়ে বিজ্ঞ মূখ্য মহানগর হাকিমের আমলী লবনচরা থানা আদালত, খুলনা যৌতুকের মিথ্যা মামলা (৯৫-২২ তাং ২৭-০৪-২০২২ ইং) দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে রেদোয়ানের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ  গত ২৩ শে জুলাই গভীর রাতে রেদোয়ান গোলদারের তুষখালীর ছোট মাছুয়া বসত বাড়িতে থানার এসআই আবুল বাসার ও এসআই নুরুজ্জামের নেতুত্বে ১০ জনের একটি পুলিশ সদস্যের দল গ্রেফতারের জন্য যায়। এসম রেদোয়ান গোলদার বাড়িতে না থাকলেও পুলিশ দরজা, জানালা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। পরে বিধবা মা দরজা খুলে দিলে আলমারি, ওয়ারড্রোয়ার ও মালামল তছনছ করে এবং একটি কমলা রঙের সাইড ব্যাগ নিয়ে যায়। যার ভিতরে তাঁর মরহুম পিতার মূল্যবান কাগজপত্র ছিল বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন।
রেদওয়ান দোলদার গত ৪ আগষ্ট সংশ্লিষ্ঠ আদালতে জামিনের আবেদন করেন এবং সোমাইয়া নামের কারো সাথে বিয়ে হয়নি এছাড়া ওই কাবিননামার কাগজপত্র ভুয়া প্রমানের জন্য বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, পুলিশি হয়রানী, আলমারি, ওয়ারড্রোয়ারের  মালামল তছনছ এবং ব্যাগ নেয়ার বিষয়টি মিথ্যা বানোয়াট  দাবী করে বলেন, আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ পেয়ে পুলিশ রেদোয়ানকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায়।