মঠবাড়িয়ায় ৩ অসহায় পরিবারকে একাধিক মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

মঠবাড়িয়ায় ৩ অসহায় পরিবারকে একাধিক মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পাওনা টাকা চাওয়ার রেশ ধরে একাধিক মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হচ্ছেন অসহায় ৩ টি পরিবার।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ও ন্যায় বিচার পাবার আশায় মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মঠবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

উল্লেখ্য- অভিযুক্ত হালিমা বেগমের মিথ্যা মামলা না নেয়ায় মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসি নুরুল ইসলাম বাদল এর বিরুদ্ধে হালিমার পক্ষ থেকে বরিশালে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছিলো।

ওই পরিবারগুলোর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে কহিনুর বেগম (৪০) বলেন, উপজেলার মধ্য তুষখালী গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী হালিমা বেগমকে জমি বন্ধকী ব্যাবৎ টাকা নেয়। গত দুই বছর আগের ওই পাওনা টাকা চাইতে গেলে আমার দেবরের মেয়ে সনিয়াকে মারধর করে। এ ঘটনায় সনিয়া আক্তার গত ২০২২ সালের ৬ মার্চ বাদি হয়ে হালিমা বেগম ও স্বামী মো. মনির হোসেনের বিরুদ্ধে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলে তিনি সত্যতা পেয়েছেন মর্মে প্রতিবেদন দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হালিমা বেগম ও তার অপর দুই বোনকে দিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে আমাদের তিন পরিবারকে।

সম্মেলনে কহিনুর বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমরা তিনটি পরিবার ঠিকমত ৩ বেলা খাবার খেতে পারি না তারপরেও একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের পরিবার তিনটিকে সর্বস্বান্ত করেছে। আমরা প্রশাসনের উর্দ্ধতণ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আঃ মান্নান হাওলাদার, সোনিয়া আক্তার, মনির হোসেন ও আঃ রহমান প্রমূখ।

মঠবাড়িয়া থানার সাবেক ওসি নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, হালিমার মিথ্যা মামলা নেয়নি বলে আমার বিরুদ্ধে বরিশালে সংবাদ সম্মেলনও করেছে। পরে তারা আদালতে মামলা করেন।

এ ব্যপারে জানতে অভিযুক্ত হালিমা বেগমের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. কাররুজ্জামান তালুকদার বলেন, থানা পুলিশ সর্বোচ্চ জবাবদিহিতার মাধ্যমে কাজ করে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্য গ্রহণ করা হবে।