মাগো মা অভিমান করনা

মাগো মা অভিমান করনা

মৃত্যুর পরে চোখের জলে ভাসিয়ে বলি মা তুমি বড় অভিমানী। কি ভাবে আমাকে একা ফেলে চলে গেলে। কেন ফিরে আসো না। মা..ও মা! 

এমন আকুতি করার পরে ফিরে আসে না। কারণ মৃত্যুর পরে আর কেউ ফিরে আসেন। শেষ গন্তব্য ওটা। বিশেষ কারনে অকারনে মায়ের প্রতি যেমন অভিমান হয় আমাদের। ঠিক আমাদের প্রতিও মায়ের কোন অভিমান হয়েছিলো কিনা জানি না। আমরা জানতে  চেষ্টাও করি না। আমরা ব্যস্ত হয়ে পরি। ভীষণ করে ব্যস্ত হয়ে পরি। ভালোবাসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করি, প্রিয় মুখ; আমার মাকে। মৃত্যুর পরে কেঁদে কেঁদে  চোখের জল ভাসিয়ে ভালোবাসা দেখালে কি হবে? মা দেখে যেতে পারলোনা আপনি তাঁকে কতটা ভালোবাসেন। যেমন ধরুণ আমরা আামাদের পাঠ্য বইতে কত কবি সহিত্যকের কথা পড়ি, জানি এবং পরীক্ষার খাতায় লিখি। কিন্তু ওই ব্যাক্তি জানতে পারলোনা তাকে  নিয়ে আমরা কতটা ভাবি এবং ভালোবাসি। 

যেই ব্যক্তি ভালোবাসার প্রাপ্য, এবং বেঁচে থাকতেই সেই ভালোবাসা পাওয়ার অধিকার সে রাখে। তাই আমরা যেন ভালোবাসি ভালোবাসাকে। সে যেন অনুভব করে যেতে পারে আমাদের অনুভুতি।

ঠিক এমনই একটি গল্প নাটকের মাধ্যেমে আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছে নাট্য পরিচালক ‘সুব্রত সঞ্জিব’। শনিবার (৯ জানুয়ারী) রাত ৮:৩০ মিনিটে মাছরাঙা টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে পারবেন। ‘সুব্রত সঞ্জিব’ বেশ কতগুলো কাজ করেছেন। ভীষন পছন্দ হয়েছে মানুষের। মনেহয় মানুষটির মাটি খুব পছন্দ। না হলে মাটি কি ভাবে এত আপন করে? 

এবারে নাটকটিতে এমনই সুন্দর গল্প ‘অভিমানী’ যা রচনা করেছেন ‘রশিদুর রহমান’ হয়ত কোন এক চোখের জল তাঁকে হয় স্পর্শ  করেছে না হলে এমন অভিমান হয় কি করে? হয়ত নাটকটি দেখলে আমাদের সকল প্রশ্নের উত্তর মিলবে।

নাটকটির অভিমানী মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ‘শর্মিলী আহমেদ’ ছোট বেলা থেকে দেখতে দেখতে আজও দেখে যাচ্ছি কি সুন্দর অভিনয়ের সৃষ্টি।

নাটকটির প্রধান চরিত্রে দুটি মানুষ রয়েছেন ‘আবদুন নুর সজল’ এবং মৌসুমি হামিদ। ‘আবদুন নুর সজল’ যার অভিনয় মানুষের মন কারে। হৃদয় স্পর্শ করে। 

‘মৌসুমি হামিদ’ যে ব্যক্তি নিজেকে আগলে রাখেন গল্পের চরিত্রের সঙ্গে। ভুলে যান ‘মৌসুমি হামিদ’কে। তাই হয় প্রতিটা গল্পে চরিত্রের সঙ্গে তাঁর আয়ত্ত একটু বেশিই। 

নাটকটিতে অনান্যদের মধ্যে যারা ছিলেন, মনির জামান  ,ডিউক আসাদ,  খায়রুল আলম, নাফিজ নাজমুল, মানস ও মাস্টার অগ্রগামী সিকদার সাম্য। প্রযোজনা করেছেন, ‘মনির জামান’। প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ‘শাহজাদা কবির শুভ’। সহকারী পরিচালক পোস্টার ও লোগো ডিজাইন করেছেন হাবিবুর রহমান মাহিন। সম্পাদনা ও রং বিন্যাস করেছেন, ‘রমজান আলী’। চিত্রগ্রহনে ছিলেন ‘বিশ্বজিৎ দত্ত’। গানের সুর এবং কথা দিয়েছেন ‘সঞ্জু স্মিথ’। মিউজিক পরিচালনা করেছেন শুভ ঢালী। স্থির চিত্রগ্রাহক ছিলেন ‘এইচ এল হাসিব’। কবিতা আবৃত্তি করেছেন ‘এইচ ইমন মুজাফফর’।