মাদারীপুরে দশ মহাকালী পূজা

ফাল্গুন মাসের অমাবস্যা তিথিতে প্রতি বছরের মতো এ বছরও শত বছরের পুরোনো চৌহদ্দি সার্বজনীন অনন্ত দশ মহাবিদ্যা মন্দিরে দশ মহাকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের চৌহদ্দি গ্রামে রোববার ১৯ ফেব্রুয়ারী গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ পূজা ।
অনন্ত দশ মহাবিদ্যা মন্দিরে একই সাথে ১০ সাধারন ভক্তবৃন্দই ব্রাম্মনের নেতৃত্বে দশ মহাকালীর পূজা করে থাকে।এর আগে মঙ্গল ঘট স্থাপন, অধিবাস,শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে মহাকালী পূজা,অঞ্জলি প্রদান,প্রার্থনা,যজ্ঞানুষ্ঠান,মহোৎসব,প্রসাদ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।ঐতিহ্যবাহী দশ মহাকালী পূজা দেখতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার দর্শক-শ্রোতাদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠছে মন্দির প্রাঙ্গণ।শত বছরের পুরোনো কালী মন্দির প্রাঙ্গণে মায়ের আদেশপ্রাপ্ত হয়ে নির্মাণ করা হয় সার্বজনীন অনন্ত দশ মহাবিদ্যা মন্দির। নির্মাণ করা হয় কালী,তারা,ষোড়শী,ভুবনেশ্বরী, ভৈরবী,ছিন্নমস্তা,ধূমাবতী,বগলা,মাতঙ্গী ও কমলার পাথরের মূর্তি।ফাল্গুন মাসের অমাবস্যা তিথিতে প্রতি বছর আয়োজন করা হয় দশ মহাকালী পূজার।দশ মহাকালীর পূজায় বরিশাল, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ভক্ত উপস্থিত হয়ে পূজা অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বরিশালের অরুণ কর্মকার, বলেন,আমরা জাগ্রত মহাকালী পূজার কথা শুনে আসছি।এখানে এসে খুব ভালো লাগে। মায়ের ১০টি রূপ দেখে খুব ভালো লাগে । প্রতি বছরই স্বপরিবারে মায়ের পূজা অনুষ্ঠানে আসি।
স্বপন সাহা বলেন মায়ের মন্দিরে এসে বছরে একবার নিজে পূজা দিতে পারি এটা আমার জন্য এ পৃথিবীতে পরম সৌভাগ্যের।
ভক্ত গৌতম কর্মকার জানান,মায়ের মন্দির ও মূর্তি দর্শন করে খুবই ভালো লেগেছে।মায়ের আশির্বাদ গ্রহনের জন্য আসছি।এ স্থানটি একটি তীর্থ ক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে।যুগ যুগ যাতে এখানের পূজা মহা ধূমধামের সহিত অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
সার্বজনীন অনন্ত দশ মহাবিদ্যা মন্দির কমিটির সভাপতি কানাই লাল বিশ্বাস জানান,এই পূজা হচ্ছে মায়ের আদেশপ্রাপ্ত পূজা।শতাধিক বছরের পুরোনো কালী মন্দির প্রাঙ্গণে মহাদশ কালী পূজা করা হচ্ছে।কালী মন্দির প্রাঙ্গণে ১৫ বছর ধরে মহা দশ কালী পূজা করা হচ্ছে। এক দিনের পূজা হলেও অনুষ্ঠান চলে ৩দিন।বাংলাদেশসহ দেশের বাইরের ভক্তবৃন্দও পূজা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন। বিশ্বের সকল প্রানীর মঙ্গল কামনায় এ পূজা করে আসছি। এ ব্যাপারে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি।