মার্কিন প্রতিবেদন: শিশুশ্রম বন্ধে বাংলাদেশের উন্নতি

মার্কিন প্রতিবেদন: শিশুশ্রম বন্ধে বাংলাদেশের উন্নতি

শিশুশ্রম বন্ধে বাংলাদেশে মাঝারি আকারের অগ্রগতি হয়েছে। গত তিন বছরে ৯০ হাজার শিশু শ্রমিককে বিপজ্জনক কাজ থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। ৩৫ হাজার শিশুকে সরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে শোষণমূলক কাজ থেকে। গত বছরে ৫৫৮টি কারখানা থেকে এক হাজারের বেশি শিশু শ্রমিককে সরিয়ে আনা হয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার ২৫৪ জনকে লেখাপড়ায় যুক্ত করা হয়েছে এবং তিন হাজার ৫০১ জন শিশুকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিষয়ক এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের ১৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ২০১৭ থেকে ২০১৯ মেয়াদে শিশুদের জন্য ব্যয় ১৭ শতাংশ বাড়িয়েছে।

শুঁটকি মাছ উৎপাদন, ইটভাটা, পোশাক ও চামড়া উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বিপজ্জনক কাজের সঙ্গে শিশুরা জড়িত বলে প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়।

বাংলাদেশ শ্রম আইন অনানুষ্ঠানিক খাতের জন্য প্রযোজ্য নয় জানিয়ে বলা হয়, এই খাতে সবচেয়ে বেশি শিশু শ্রমিক কাজ করে এবং এর নিষেধাজ্ঞার পরিধি ব্যাপক নয়। এছাড়া শ্রম পরিদর্শকরা জরিমানা করার ক্ষমতা রাখে না। আদালত যখন জরিমানা আরোপ করে তখন তার পরিমাণ অত্যন্ত কম বলে মন্তব্য করা হয়।