মায়ের সহযোগিতায় তালাকের মিথ্যা নোটিশ তৈরি করেন তামিমা

কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মী এখনও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের স্ত্রী। তামিমা তার মা সুমি আক্তারের সহযোগিতায় জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। সেই হিসেবে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী পরিচয় দেওয়া তামিমা যে বিয়ে করেছেন সেটি অবৈধ। এমনটাই প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালতে দাখিল করা পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তামিমা তার মা সুমি আক্তারের সহযোগিতায় মিথ্যা তালাকের নোটিশ তৈরি করেন। পরে ডাকযোগে পত্র পাঠানোর ভুয়া রিসিট তৈরিতে সহযোগিতা করেন। সেটি আসল হিসেবে ব্যবহার করে স্বামী বলবৎ থাকা অবস্থায় নাসিরকে কথিত বিয়ে করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। আবার সেটি প্রচারের উদ্দেশ্যে প্রেস কনফারেন্স করে স্বামী রাকিব হাসানের মানহানিতে সহযোগিতা করেন।
পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা শেখ মো. মিজানুর রহমান ৭ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেখানে বলা হয়েছে, তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের কথিত সেই বিয়ের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। উল্লেখ্য, কথিত ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে তামিমার মা সুমি আক্তারের নাচের ভিডিও তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়।