মুজিব বর্ষে খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন

বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির আরজি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
মঙ্গলবার ডাকযোগে এ আবেদন করেন তিনি। আবেদনের এ অনুলিপি আইন সচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছেও পাঠানো হয়েছে।
ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, সংবিধানের ৪৮ (৩) ও ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যেকোনো স্পর্শকাতর জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি কারও জন্য ক্ষমা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারেন এবং রাষ্ট্রপতি তার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমি বিএনপির রাজনীতি করি না। সক্রিয় কোনো রাজনীতিতে জড়িত না থাকলেও জাতীয় পার্টির হয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। অতীতে আওয়ামী লীগের হয়েও নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মনোনয়ন পাইনি।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বয়স্ক ও গুরুতর অসুস্থ। কারামুক্তি পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার। বিএনপি ও তার পরিবার এবং আইনজীবীরা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমি মানবিক কারণে এ আবেদন করেছি। রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় খালেদা জিয়া মুক্তি পেতে পারেন। বিশ্বের অনেক দেশে বিশেষ দিনে কারাবন্দীদের মুক্তি দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। মুজিব বর্ষে খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করে তাকে কারামুক্তি দিলে সরকারের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা- ৮ নির্বাচনী আসনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে হেরে যান অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে (২০২০- ২০২১) সরকার সমর্থক সাদা প্যানেল ও বিএনপি সমর্থক নীল প্যানেলের পাশাপাশি ‘স্বতন্ত্র’ হিসেবে সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন তিনি।
এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই আবেদন কিংবা আবেদনকারীর সঙ্গে বিএনপির কোনো যোগাযোগ নেই।
দুর্নীতির দুটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। কারা কর্তৃপক্ষের অধীনে তিনি গত বছরের এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যে উচ্চ আদালতে তার একাধিক জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। সম্প্রতি খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষে তার মুক্তি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।