মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে বেকারত্ব লাঘব হচ্ছে

মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে বেকারত্ব লাঘব হচ্ছে

বাঙালি জাতির কৃষ্টি ও ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত মৎস্যসম্পদ রক্ষায় 'বেশি বেশি মাছ চাষ করি, বেকারত্ব দূর করি' শ্লোগানকে স্বার্থক করে তুলতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য খাতের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। অনেকেই প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে মৎস্য খাতের সাথে সংযুক্ত থেকে জীবিকা নির্বাহ করছে, ফলে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে বেকারত্ব লাঘব হচ্ছে। এজন্য যুব সমাজকে মৎস্য উৎপাদনে উৎসাহিত ও সম্পৃক্ত করতে হবে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য উৎপাদনকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছেন। জনগণের পুষ্টিকর খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য মৎস্যখাতকে গুরুত্ব দিয়ে সরকার কাজ করছে, যার সুফল জনগণ ভোগ করছে। 

ভার্চুয়ালি আজ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২১-এর উদ্বোধন ও  ‘সংসদ ভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। পরে স্পিকারের পক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ‘সংসদ ভবন লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন। এসময় চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এ.বি. তাজুল ইসলাম, সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন। মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক সংসদ ভবন লেকে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস, মহাশোল, সুবর্ণ রুই, পাবদা,  গুলশা, গলদা চিংড়ি ৯ হাজার ৮৩৫টি পোনা অবমুক্ত করা হয়। 

 

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য সম্পদের অবদান অনুভব করেছিলেন এবং ১৯৭৩ সালে গণভবন লেকে পোনা মাছ অবমুক্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে এর শুভ সূচনা করেছিলেন তিনি। প্রতিবছর মৎস্য সপ্তাহ পালন মৎস্য সম্পদের সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে এবং জাতীয় মৎস্য পদক মৎস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। সামুদ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ইতোমধ্যে সরকার জাতীয় চিংড়ি নীতিমালা এবং মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০২০ প্রণয়ন করেছে। অধিকতর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের লক্ষ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় তিনটি মাননিয়ন্ত্রণ ল্যাব আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হয়েছে। জাতীয়ভাবে রেসিডিউ কন্ট্রোল প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।