যারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আছে তারাই প্রধান চোর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে যারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় বসে আছে, তারা হচ্ছে প্রধান চোর। সময় এসে গেছে, এই চোরদের ধরতে হবে।
শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় স্বাধীনতা হলে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আলোচনা সভায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে আলোচনা সভায় সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, ওলামা দলের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ নেসারুল হক ও তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
এতে আমির খসরু মাহমুদ বলেন, আমাদের এবারের স্লোগান হচ্ছে-হাসিনার বদলে কেয়ারটেকার, ইভিএম’র বদলে ব্যালট পেপার।
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। কমিশন কোনো ফ্যাক্টর না। এদের নিয়ে কথা বলে সময় নষ্ট করে লাভ হবে না। নির্বাচন কমিশন হচ্ছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে, সবচেয়ে বেশি দেশের জন্য যেটা প্রয়োজন-আগামী নির্বাচনে নিরপেক্ষ সরকারের ওপর বাংলাদেশের সব জনগণকে জোর দিতে হবে।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এরই মধ্যে বাইরের দেশ থেকে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এই নিষেধাজ্ঞা আসার অর্থ হচ্ছে-চোর ও চোরের সহযোগীদের বিদেশিরা চিহ্নিত করেছে।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, চোর সরিয়ে ইভিএম রাখা যাবে না, এক সঙ্গে দুইটাই করতে হবে। চোর ধরতে হবে, চোরের সরঞ্জাম ইভিএম বাজেয়াপ্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, একদিকে ভোট চুরি, অন্যদিকে উন্নয়নের নামে বড় চুরি করছে এই সরকার। চুরির মাধ্যমে সরকার বাংলাদেশের তহবিল খালি করে ফেলেছে। এই চুরির কারণে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিলসহ নানা প্রক্রিয়ায় মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে।
পিআর/বিপি