যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে আক্রমণ

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে আক্রমণ

ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেসের ক্যাপিটল ভবনে আক্রমণ এবারই প্রথম নয়। কিন্তু সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে ২০৬ বছর আগে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিস্টরিকাল সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, ১৮১২ সালের যুদ্ধের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে এই ধরনের আগ্রাসন হলো। সে যুদ্ধ কয়েক বছর স্থায়ী হয়েছিল।

সেই যুদ্ধের মাঝে ১৮১৪ সালে ওয়াশিংটন অভিযান চালানোর সময় ব্রিটিশ বাহিনী নির্মাণাধীন ক্যাপিটল ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়।

সেই ঘটনার ২০৬ বছর পর বুধবার অধিবেশন চলাকালীন কংগ্রেস ভবনে ঢুকে ট্রাম্প সমর্থকদের সহিংসতার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে চারে দাঁড়িয়েছে।

ঘটনার পরপরই জানানো হয়, পুলিশের গুলিতে এক নারী নিহত হন। এতে আহত হন আরও কয়েকজন। তবে আশঙ্কাজনকভাবে আহত আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।

এখন পর্যন্ত ৫২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪৭ জন কারফিউ ভেঙেছিলেন।

নভেম্বরের নির্বাচনে জয় লাভ করা জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদনের জন্য বুধবার আইন-প্রণেতারা অধিবেশনে বসেন।

সেসময় পরাজয় মেনে নিতে অনিচ্ছুক বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামে স্লোগান দিয়ে তার সমর্থকেরা কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ঢুকে পড়ে।

কয়েক ঘণ্টা কংগ্রেস ভবন কার্যত দখল করে সেখানে ভাঙচুর চালায় তারা। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে তাদের।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজধানী ওয়াশিংটনে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টার কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সান্ধ্য আইন শুরু হওয়ার পরও শত শত বিক্ষোভকারীকে রাস্তায় অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

স্থানীয় সময় দুপুরের পরই ওয়াশিংটনে নাটকীয় দৃশ্যে দেখা যায়। হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক ‘আমেরিকা বাঁচাও’ স্লোগান দিয়ে জমায়েত হতে থাকে।

একপর্যায়ে  শত শত বিক্ষোভকারী ক্যাপিটলে ভবনে ঢুকে পড়তে থাকে। সেসময় কংগ্রেস সদস্যদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে দেখা যায় পুলিশকে।

তবে পরিস্থিতি নিরাপদ হওয়ায় আবারও কংগ্রেস অধিবেশন শুরু হয়। সেখানে কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যে নিন্দা ও ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। তারা এ ঘটনাকে মার্কিন ইতিহাসের ‘নোংরা ও কালো দিন’ হিসেবে আখ্যা দেন।


ভোরের আলো/ভিঅ/০৭/০১/২০২১