রুম্মান হত্যা মামলায় নিরীহ মানুষদের আসামী করার অভিযোগ

ঝালকাঠী জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকায় আনিসুর রহমান রুম্মান বিশ^াস হত্যা মামলায় পরিকল্পিতভাবে একই বংশের নিরীহ মানুষদের আসামী করার অভিযোগ উঠেছে। আসামী করায় গ্রেপ্তারের ভয়ে তারা আত্মগোপন করেছেন। পুরুষরা বাড়িতে না থাকায় আসামীদের পরিবারের নারী সদস্যদের নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখাসহ মৌলিক চাহিদা পূরণে বাঁধা সৃষ্টির অভিযোগ করা হয়েছে বাদির বিরুদ্ধে।
সোমবার দুপুর ১২টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন রুম্মান হত্যা মামলার ১ নম্বর আসামী আল-মামুনের বোন ও ৩ নম্বর আসামী জিহাদ খানের মা মারুফা আক্তার।
তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে রুম্মান হত্যা মামলার প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে মারুফা আক্তার বলেন, নিহত রুম্মান বিশ^াসের পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে তাদের (আসামী) পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধকে পূঁজি করে রুম্মানের সৎ ভাইয়েররা ষড়যন্ত্র করে রুম্মানকে হত্যা করে জমি নিয়ে বিরোধীয় পক্ষের উপর দায় চাপাচ্ছে। নিহতের মা ও সৎ ভাই মামলার বাদি না হয়ে চাচাতো ভাই মো. মিঠু বিশ^াস রুম্মানকে হত্যা মামলার বাদি করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের সময় স্থানীয় কোন প্রত্যক্ষদর্শীকে মামলার এজাহারে সাক্ষী না করে বাদির পরিবারের ৩জনকে সাক্ষী করায় এই হত্যাকান্ড নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আসামী পুরুষরা গ্রাম ছাড়া হওয়ায় ওইসব পরিবারের নারী ও শিশুদের নিজ নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখাসহ তাদের পরিবারের বাজার-সদায় কেনাকাটা ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। রুম্মান হত্যা মামলায় প্রকৃত দোষীদের কঠোর শান্তি দাবিও করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
উল্লেখ, গত ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর জমি বিক্রয়ের কমিশন ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দপদপিয়ার বিশ^াস বাড়ি এলাকায় আনিসুর রহমান রুম্মান বিশ^াসকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় পরদিন ৪ জানুয়ারি নিহতের চাচাতো ভাই মিঠু বিশ^াস বাদি হয়ে ২২জনকে আসামী করে নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।