লকডাউনের ১০ম দিনে বেড়েছে যানবাহন ও মানুষ চলাচল

লকডাউনের ১০ম দিনে বেড়েছে যানবাহন ও মানুষ চলাচল

লকডাউনের ১০ম দিনে বরিশালের রাস্তাঘাটে আবারও বেড়েছে যানবাহন এবং মানুষ চলাচল। প্রথম দিকে পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে কড়াকড়ি থাকলেও এখন অনেকটা শিথিল। যদিও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। এদিকে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে নগরীতে একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। অপরদিকে টিসিবি পন্য বিতরণে গ্রাহকদের সামাজিক দূরত্ব রক্ষার তাগিদ দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। 

লকডাউনের ৯ম দিন গত শুক্রবার বরিশালের রাস্তাঘাটে মানুষ ও যানবাহন চলাচল ছিলো একেবারে কম। তবে গতকাল শনিবার ১০ম দিনে পরিস্থিতি অনেকটা পাল্টে যায়। গতকাল সকাল থেকেই রাস্তাঘাটে অনেক মানুষ এবং যানবাহন দেখা গেছে। রিক্সা, ব্যাটারীচালিত রিক্সা, মোটর সাইকেল এবং ব্যক্তিগত ও পন্যবাহী যান চলাচল করছে কোন যাচাই ছাড়াই। 

সকালে দিকে নগরীর বাজারঘাটগুলোতে ব্যাপক ভীড় দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারগুলো অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। লকডাউন উপেক্ষা করে খুলছে এই মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় দোকানও। 

যদিও লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি বাস্তাবয়নে গতকালও নগরীতে একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। অযথা কেউ রাস্তায় বের হলেই তাকে আইনের আওতায় আনছেন তারা। 

লকডাউনের প্রথম দিকে নগরীর বিভিন্ন প্রবেশ পথসহ ২০টি স্থানে পুলিশের কড়া চেকপোস্টে মানুষ ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হলেও  অনেক চেকপোস্টে পুলিশের উপস্থিতিই দেখা যায়নি। অন্যান্য চেকপোস্টগুলোও ছিলো অনেকটা শিথিল। যদিও সেনা বাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব এবং পুলিশের কড়া টহল দেখা গেছে নগরীতে। 
অপরদিকে বরিশাল নগরীতে টিসিবি পন্য বিক্রিতে হতদরিদ্রদের অতিরিক্ত ভীড় ঠেকাতে কয়েকটি ডিলার পয়েন্টে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় না থাকলে সংশ্লিষ্ট টিসিবি ডিলারের লাইসেন্স বাতিলের হুশিয়ারী দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাভেদ হোসেন চৌধুরী। জনস্বার্থে এই অভিযান চলবে বলে তিনি জানিয়েছেন।