লিটনকে আইসিসির ভর্ৎসনা

লিটনকে আইসিসির ভর্ৎসনা

জয়ের আশা জাগিয়েও শেষপর্যন্ত পেরে উঠেনি বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে হার টাইগারদের। এ ম্যাচে কাঠগড়ায় ক্রিকেটার লিটন কুমার দাস। দীর্ঘদিন ধরে রান খরায় ভোগা এই ওপেনার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেও রান পাননি। লঙ্কানদের বিপক্ষে জয়ের পথে হাঁটা দলকে ডুবিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি ক্যাচ মিস করে। একই ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে লঙ্কান পেসার লাহিরু কুমারার সঙ্গে বাকবিত-ায় জড়ান তিনি। যা ভালোভাবে নেয়নি আইসিসি।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দল তখন বিনা উইকেটে পাওয়ার-প্লে শেষ করার দিকে এগোচ্ছে। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এসে মিড অনের উপর দিয়ে লাহিরু কুমারার গুড লেন্থের বলটা পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন লিটন। তবে টাইমিং হলো না, খোয়াতে হলো উইকেটটা। এরপরই ঘটল ঘটনাটা। লিটন মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে আসছিলেন, তখনই তার কাছে গিয়ে কিছু একটা বলে বসলেন কুমারা। জবাব এলো লিটনের পক্ষ থেকেও।

এরপর লেগে গেলো ধাক্কাধাক্কি। নাঈম শেখ পেছন থেকে এসে কুমারাকে ধাক্কা দিয়ে সরালেন লিটনের কাছ থেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে দেখে শেষমেশ আম্পায়ারই ছুটে এসে থামালেন তিন জনকে। ম্যাচ শেষে লিটন-কুমারা দুজনকেই জরিমানা করেছে আইসিসি। কোড অব কন্ডাক্টের পৃথক ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে, যা প্রথম মাত্রার অপরাধ। লেভেল-১ এর আওতায় কুমারাকে ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ এবং লিটনকে ম্যাচ ফি’র ১৫ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে।

কুমারার আচরণকে কোড অব কন্ডাক্টের ২.৫ নম্বর ধারা ভঙ্গ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে এমন কোনো ভাষা, আচরণ বা ইঙ্গিত করা হয় যা প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে উত্তেজিত করে তোলে। লিটনের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে ২.২০ নম্বর ধারা ভঙ্গের অভিযোগ, যা স্পিরিট অব গেমের পরিপন্থী হিসেবে চিহ্নিত।