শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের অপসারণসহ নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে সিলেট সার্কিট হাউসে এই বৈঠক শুরু হয়।

শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- মুহাইমিনুল বাশার রাজ, ইয়াসির সরকার, নাফিসা আনজুম, সাব্বির আহমেদ, আশিক হোসাইন মারুফ, সাবরিনা শাহরিন রশীদ, সুদীপ্ত ভাস্কর, শাহরিয়ার আবেদিন, আমেনা বেগম, মীর রানা ও জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব।

বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখপাত্র মুহাইমিনুল বাশার রাজ বলেন, উপাচার্যের পদত্যাগ, তাকে সরিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চালু, শিক্ষার্থীদের মামলা প্রত্যাহার, আর্থিক লেনদেনের অ্যাকাউন্ট চালু, পুলিশি হামলায় গুরুতর আহত সজল কুন্ডুকে এককালীন আর্থিক সহযোগিতা প্রদান ও ৯ম গ্রেডের চাকরি নিশ্চিতকরণ নিয়ে কথা বলবো।

এছাড়া সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বাজেট বৃদ্ধি, পরীক্ষা পদ্ধতিতে কোডিং সিস্টেম কার্যকর, শিক্ষক নিয়োগে পিএইচডি এবং ডেমো-ক্লাসের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া, সারা বছর (৩৬৫ দিন) আবাসিক হল খোলা রাখার বিষয়টিও তুলে ধরা হবে বলে তিনি জানান।

এর আগে সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বিমানযোগে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শিক্ষামন্ত্রী। সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ তার সঙ্গে ছিলেন।

গত ১৩ জানুয়ারি রাত থেকে শুরু হওয়া বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা বিরোধী আন্দোলনে ১৬ জানুয়ারি পুলিশ লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ৩০ শিক্ষার্থীকে আহত করলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি উঠে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশনসহ আন্দোলন অব্যাহত রাখে শিক্ষার্থীরা।

গত ২৬ জানুয়ারি অনশন ভাঙার পর জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হকের হাতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগসহ পাঁচটি দাবি সরকারের উচ্চপর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তুলে দেন।

এরপর ৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক পদ থেকে অধ্যাপক জহির উদ্দিন আহমদকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সর্বশেষ প্রক্টরের পদ থেকে বৃহস্পতিবার আলমগীর কবীরকে অব্যাহতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবির মধ্যে এ দুজনের অপসারণও ছিল।