শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ভর্তিতে বয়স ও সময়ের বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেওয়ার পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ভর্তিতে বয়স ও সময়ের বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেওয়ার পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে ভর্তিতে বয়স ও সময়ের বাধ্যবাধকতা উঠিয়ে দেওয়ার পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।

দেশের উচ্চশিক্ষায় অ্যাক্রেডিটেশনবিষয়ক সম্মেলন এবং অ্যাক্রেডিটেশন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ বিষয়গুলো নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনেক কিছু করার আছে। সারা বিশ্ব যখন সুযোগ অবারিত করার কথা বলছে সবকিছুতে, যখন জীবনব্যাপী শিক্ষার কথা বলা হচ্ছে, তখন সব জায়গায় দেয়াল তোলা হচ্ছে কেন? কেন বলা হচ্ছে, এই বয়সের পর আর ভর্তি হতে পারবে না? কেন বলা হচ্ছে, একবারের পর আর ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না? কেন বলা হচ্ছে, এ ধরনের পড়ার পর আর ওই ধরনের পড়ায় যেতে পারবে না? এটি বোধগম্য নয়। আজকে কেউ আইন নিয়ে পড়ছেন, তিনি কেন কাল ইঞ্জিনিয়ার বা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার হতে পারবেন না? যেকোনো শিক্ষায় যাওয়ার সুযোগটি অবারিত হতে হবে।’

দীপু মনি বলেন, ১৮ বছর বয়সে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান বা রসায়ন নিয়ে পড়ব। ছয় মাস, এক বছর, তিন বছর পর আমার মনে হলো আমি এই বিষয়ে পড়তে চাই না। কিন্তু আমার সামনে পথ খোলা নেই। আমাকে ধরে নিতে হবে, এটা আমার ব্রেক অফ স্টাডি। সারা বিশ্বে এটা পারলে বাংলাদেশে কেন পারবে না।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বুধবারের ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উচ্চশিক্ষায় অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির সমালোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান করার জন্য তাগিদ দেন দীপু মনি।

তিনি বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়টির বয়স ১০০ বছর হয়ে গেছে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ বছর আগে যে বিষয়গুলো চালু করেছিল, সেগুলো আজকের জন্য প্রতিটি বিষয় একইভাবে প্রাসঙ্গিক কি না, সেটাও দেখার বিষয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।