শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবি: ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে পণ্যবাহী কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় কার্গোর ৮ স্টাফের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে বন্দর থানা ও নৌ আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাবু লাল বৈদ্য জানান, উভয় মামলায় কার্গো জাহাজের মাস্টারসহ আট স্টাফকে আসামি করা হয়েছে। গত রোববার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করে নৌ পুলিশ। জব্দ করা হয় কার্গো জাহাজটিকেও।
বন্দর থানায় করা মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, রবিবার দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চঘাট থেকে এম এল আফছার উদ্দিন নামে একতলাবিশিষ্ট যাত্রীবাহী লঞ্চটি ৩৪-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কাঁচপুর থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা এমভি রূপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজটি তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর ৫০০ মিটার উত্তর পাশে ধাক্কা দিয়ে কিছুদূর ঠেলে ডুবিয়ে দেয় লঞ্চটিকে। ঘটনার পর লঞ্চের স্টাফসহ কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে উঠতে পারলেও কিছু সংখ্যক লোক লঞ্চের ভেতর আটকে পড়ে পানির মধ্যে ডুবে যায়।
এই মামলায় আসামি করা হয়েছে কার্গো জাহাজের মাস্টার রমজান আলী শেখ (৫৬), মাস্টার নুরুল আলম (৪৩), ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম (২৯), ইঞ্জিনিয়ার নাদিম হোসেন (২৪), লস্কর সুমন হোসেন (২৪), লস্কর মো. ইয়াসিন (২২), সুকানি জাহিদুল ইসলাম (২৪), গ্রিজার রিয়াদ হোসেন (২৩)। মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার হওয়া জাহাজের এই ৮ স্টাফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর আল আমিন নগর এলাকায় সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন কার্গো জাহাজ এমভি রূপসী-৯ এর ধাক্কায় নারায়ণগঞ্জ টু মুন্সীগঞ্জগামী ‘আফসার উদ্দিন’ নামের ওই লঞ্চটি ডুবে যায়। এরপর ১৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এবং ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।