শেবাচিমে চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফদের ছুটি বাতিল

ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান-১০ যাত্রীবাহী লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৪০ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক জহর আলী। এছাড়া অগ্নিদগ্ধ ৭০ জনকে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের জরুরি চিকিৎসায় হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, হাসপাতালে ভর্তিদের মধ্যে ৯০ ভাগ দগ্ধ ১৬ জনকে ঢাকায় পাঠানো করা হয়েছে। আর যারা ভর্তি রয়েছেন এদের বেশিরভাগ ৫ ও ১০ ভাগ দগ্ধ হওয়ায় শঙ্কামুক্ত বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম।
এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক লঞ্চের সকল স্টাফ। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চের ইঞ্জিন থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হয়েছেন বহু মানুষ।
এরপর শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লঞ্চে আগুনে দগ্ধ রোগীরা আসতে শুরু করে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একাধিক যাত্রী ও তাদের স্বজনরা বলেন, আকস্মিকভাবে ইঞ্জিনরুম থেকে আগুনের লেলিহান শিখা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আগুন ও এর সাথে ধোয়ায় লঞ্চ আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে প্রাণ বাঁচাতে অনেকই লঞ্চ থেকে নদীতে লাফ দেয়। এ সময় লঞ্চের ভেতরে থাকা যাত্রীরা দিগবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। তাদের ধাক্কায় ও পায়ের নিচে পদদলিত হয়ে অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। যাত্রীরা দিশেহারা হয়ে ডাক-চিৎকার দিতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে যে যেভাবে পেরেছে আত্মরক্ষার চেষ্টা চালিয়েছে। এতে অনেকে তাদের স্বজনদের রেখে নদীতে ঝাপ দেয় বলেও জানান তারা।
শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, ৭০ জন দগ্ধ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া আশঙ্কাজনক ১৬ দগ্ধ রোগীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ৫ থেকে ১০ ভাগ দগ্ধ রয়েছে। তারা শঙ্কামুক্ত বলে দাবি করেন তিনি।
হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অর্ধশতাধিক চিকিৎসক আনা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা থেকেও একটি টিম চিকিৎসার জন্য রওয়ানা হয়েছে। চিকিৎসা ও ওষুধের কোনো সমস্যা নেই বলে নিশ্চিত করেন তিনি।