শ্রীলঙ্কা সফরে ‘খুব ভালো সুযোগ’ দেখছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট

শ্রীলঙ্কা সফরে ‘খুব ভালো সুযোগ’ দেখছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট

আগামী অক্টোবরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ দল। করোনাভাইরাসের কারণে দেশে ও দেশের বাইরে অন্তত ৫টি সিরিজ বাতিল হওয়ার পর শ্রীলঙ্কা সফর নিশ্চিত হওয়ার খবরটি একপ্রকার স্বস্তিই বয়ে নিয়ে এসেছে ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থকদের মনে।

জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল মনে করছেন, শ্রীলঙ্কা সফরের এই টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের খুব ভালো সুযোগ রয়েছে। করোনার কারণে চার মাসের বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকলেও, মানসিকভাবে ভালো অবস্থায়ই রয়েছেন তারা। এক্ষেত্রে বিশেষ উপকার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নেয়া পদক্ষেপগুলো।

ঈদ উল আজহার আগে মুশফিকুর রহীম, শফিউল ইসলামরা ব্যক্তিগত অনুশীলন শুরু করলেও, তামিম যোগ দিয়েছেন রোববার। খোলা মাঠে ফিটনেস ট্রেনিং ও হালকা ব্যাটিং অনুশীলন করে বেশ ভালো অনুভব করছেন তিনি। আর সপ্তাহখানেক সময়ের মধ্যেই সেরা অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ার আশা তামিমের।

বিসিবি কর্তৃক সরবরাহকৃত ভিডিওবার্তায় তামিম বলেছেন, ‘গত চার মাসে বিসিবি কিছু বিষয় ঠিক করে দিয়েছিল, যেন মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় থাকি। ব্যক্তিগতভাবে আমিও ২-৩টা সেশন করেছি। আমার মনে হয়েছে এগুলো বেশ সাহায্য করেছে। চার মাস খুব সহজ ছিল না। কিন্তু এখন যত দ্রুত সম্ভব সেই অবস্থা থেকে মানসিকভাবে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ সামনেই আমাদের একটা বড় সফর আছে। আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে।’
এসময় নিজের ব্যাটিংয়ের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তামিম আরও বলেন, ‘অনেকদিন পর অনুশীলন শুরু করলাম। ব্যাটিংয়ে যতটা জড়তা কাজ করবে ভেবেছিলাম, ততটা খারাপ অবস্থা নয়। ব্যাটিংটা মোটামুটি ঠিকই আছে, ফিটনেসের দিক থেকেও ভালোই আছে। তবে বাসায় যতকিছুই করে থাকি না কেন, মাঠের বিষয় পুরো আলাদা। এটার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়তো আরও সপ্তাহখানেকের মতো লাগবে, সপ্তাহখানেক পর আরও ভালো অবস্থায় থাকব।’

তিনি যোগ করেন, ‘যেভাবে নিয়ম মেনে সবকিছু করছি আমরা, আমার কাছে ইতিবাচকই মনে হচ্ছে। আশা করি যে, এভাবে আমরা এগুতে থাকব এবং আরও ভালো অবস্থায় যাবো। এখন যেহেতু আমরা জানি যে সামনে একটা সিরিজ আছে। আমরা জানি খেলা কখন শুরু হবে। তো টেস্ট ম্যাচগুলোর জন্য সবাই সবার মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

মাঠে ফিরতে পেরে নিজের সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তামিম বলেন, ‘এই চার মাস খুবই কঠিন ছিল। হয়তো আমরা বাসায় ছিলাম, কিন্তু একটা মানসিক চাপ সবসময়ই কাজ করছিল। কারণ স্বাভাবিকভাবে কিছুই করা যাচ্ছিল না। সাধারণত কোনো সফর থেকে ফিরে ৭-৮ দিনের ছুটি পেলে আমরা অনেক কিছু করতে পারি, কিন্তু এই চার পুরোপুরি ভিন্ন ছিল। এ সময় স্বাস্থ্য বিষয়ে সবার চিন্তা ছিল। তবে শেষপর্যন্ত আমরা আমাদের পছন্দের কাজ অর্থাৎ খেলাধুলা করতে পারছি। এটাই ভালো লাগার।’