শ্রীলঙ্কায় নতুন অস্থিরতার শঙ্কা

শ্রীলঙ্কায় নতুন অস্থিরতার শঙ্কা

রাজাপাকসে ঘনিষ্ঠ রনিল বিক্রমাসিংহে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর শ্রীলঙ্কায় নতুন করে বিক্ষোভ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে যে বিক্ষোভে উৎখাত হয়েছেন সেই বিক্ষোভের সমালোচনা করে তিনি সেটিকে আইনবিরোধী উল্লেখ করার পর এই আশঙ্কা বেড়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

বুধবার পার্লামেন্টে নির্বাচিত হওয়ার পর এমপিদের প্রতি দেওয়া এক ভাষণে বিক্রমাসিংহে স্পষ্ট করেছেন, তিনি এই বিক্ষোভ দমন করতে চান।

বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ করে বিক্রমাসিংহে বলেছেন, আপনারা যদি সরকারকে উৎখাত করতে চান, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখল করতে চান, তাহলে এটি গণতন্ত্র নয়, এটি আইনবিরোধী।

তিনি আরও বলেন, আইন অনুসারে আমরা তাদের মোকাবিলা করবো। নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে অল্প কয়েকজন বিক্ষোভকারী নষ্ট করবে তা হতে দেবো না আমরা।

বৃহস্পতিবার সকালে অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছোট্ট অনুষ্ঠানে শপথ নিয়েছেন বিক্রমাসিংহে। কলম্বোতে পার্লামেন্ট ভবনে কঠোর নিরাপত্তায় প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়াসুরিয়া তাকে শপথ পড়ান।

শ্রীলঙ্কার পুলিশ প্রধান ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা নতুন প্রেসিডেন্টকে সমর্থন জানিয়েছেন। শপথ অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া এমপিরা বিক্রমাসিংহেকে অভিনন্দন জানান। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি পার্লামেন্টের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিনেশ গুনাবর্ধনেকে নিয়োগ দিতে পারেন। মাহিন্দা রাজাপাকসে ও গোটাবায়া রাজাপাকসে যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন গুনাবর্ধনে মন্ত্রী ছিলেন। তিনি রাজাপাকসের অনুগত হিসেবে পরিচিত।

সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা জারি করা বিক্রমাসিংহে বিক্ষোভকারীদের ‘ফ্যাসিবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং ইঙ্গিত দিয়েছেন বিক্ষোভ দমনে পিছপা হবেন না।

বুধবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হওয়ার একঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে দেশটির একটি আদালত নির্দেশ দিয়েছেন, গল ফেস-এর একটি ভাস্কর্যের আশপাশে ৫০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত করা যাবে না। এখানে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে আসছিলেন।

অবশ্য, জরুরি অবস্থা অমান্য করে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সিঁড়িতে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী জড়ো হন। এটি এখনও বিক্ষোভকারীদের দখলে। বিক্ষোভকারীরা বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।  

অনুরা গুনারত্নে নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, রনিল বিক্রমাসিংহেকে তাড়ানো হবে। তিনি একজন কুটিল মানুষ, জনগণের রায় তার প্রতি নেই। এই বিক্ষোভ আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। এর শেষ হওয়া দরকার। আমরা যে সমাপ্তি মানবো তা হলো বিক্রমাসিংহেকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত।