শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ

অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে শ্রীলঙ্কায় প্রথমবারের মতো পুলিশ আজ বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালায়। এতে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভরত জনতা হিংস্র হয়ে উঠলে এবং তাদের দিকে ঢিল ছুঁড়লে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালাতে বাধ্য হয় তারা।

আজ রাজধানী কলম্বো থেকে ৯৫ কিলোমিটার দূরে মধ্য শ্রীলঙ্কার রামবুক্কানায় একটি মহাসড়ক অবরোধ করে তেলের তীব্র ঘাটতি ও উচ্চমূল্যের প্রতিবাদ জানায় জনগণ।

তীব্র জ্বালানি ঘাটতি আজ শ্রীলঙ্কা জুড়ে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ গাড়িচালক টায়ার জ্বালিয়ে রাজধানীতে যাওয়ার প্রধান সড়ক অবরোধ করেছেন।

খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানী সহ গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানির অর্থায়নের জন্য শ্রীলঙ্কার হাতে আর কোনো ডলার নেই। ফলে দেশটি ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। যে কারণে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে।

মধ্যাঞ্চলীয় শহর ক্যান্ডিকে রাজধানী কলম্বোর সঙ্গে যুক্তকারী মহাসড়কে আজ বিক্ষোভ হয়েছে। শ্রীলঙ্কা জুড়ে জ্বালানি স্টেশনগুলোতে পেট্রোল এবং ডিজেল ফুরিয়ে গেছে।

প্রধান তেল খুচরা বিক্রেতা সিলন পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন আজ ৬৪.২ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়িয়েছে এবং রেশনিং সিস্টেম বাতিল করে দিয়েছে। গত সপ্তাহে একজন ব্যক্তি কতটা জ্বালানি কিনতে পারবে তার সীমা নির্ধারণ করার জন্য রেশনিং সিস্টেম চালু করা হয়েছিল।

বাজারের এক তৃতীয়াংশ নিয়ন্ত্রণকারী খুচরা পেট্রোল বিক্রেতা লঙ্কা আইওসি গতকাল দাম ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে।

গাড়িচালকরাও কলম্বোর বিক্ষোভকারীদের দলে যোগ দিয়েছে, যারা ১১ দিন ধরে রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি জানিয়ে আসছে। দেশটির প্রধান শিশু হাসপাতালের চিকিৎসকরাও ওষুধ ও সরঞ্জামের গুরুতর ঘাটতি নিয়ে আজ প্রতিবাদ শুরু করেছেন।

ওদিকে, শ্রীলঙ্কা তার ডলারের রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে।