সরকার নিজেদের গোষ্ঠী স্বার্থে সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে

সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের চরম গণবিরোধী নীতির বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, সরকার নিজেদের গোষ্ঠী স্বার্থে সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। অথচ আশেপাশে কোনো দেশেই ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। একমাত্র বাংলাদেশের বর্তমান গণধিকৃত সরকারই জনগণের স্বার্থের তোয়াক্কা করে না। এরা নিপীড়ন-নির্যাতনের ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে জনগণকে বন্দি করে রাখতে চায়।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। এতে তিনি তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের নিন্দা ও এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে মিল মালিকদের বৈঠকের পর ১ লাফে প্রতি লিটারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের মূল্য ৪৪ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা সরকারের চরম গণবিরোধী নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।
ফখরুল বলেন, সয়াবিন তেল এখন সোনার হরিণ। এই সরকার যে জনগণের শক্রপক্ষ সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধিতে তা আবারও প্রমাণিত হলো। ঈদুল ফিতরের আগে বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও এবং গতকাল সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি অভিনব নজীরবিহীন ঘটনা—যা জনগণকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে। ক্ষমতাসীন মহলের সিন্ডিকেটের দৌরাত্বেই বাজার থেকে সয়াবিন তেল গায়েব করে এখন দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষকে গচ্চা দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। এই ঘটনায় জনগণকে চরম হয়রানির মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।
ভোজ্য তেল হিসেবে সয়াবিন তেল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। প্রতিটি পরিবারে রান্নায় এটি একটি অত্যাবশকীয় উপকরণ। সুতরাং নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াই প্রধান লক্ষ্য। ভোটারবিহীন সরকারকে জনগণের কাছে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না বলেই সয়াবিন তেলের মতো একটি প্রয়োজনীয় পণ্যকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেটি জনগণের ক্রয় ক্ষমতা থেকে দূরে ঠেলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলা হয়েছে।