সরকারি ঘোষণার পরও বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকামুখি লঞ্চ ছাড়েনি

দিনভর ঢাকামুখি মানুষের ভোগান্তির পর সন্ধ্যায় লঞ্চ চালুর অনুমতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। কিন্তু ততক্ষণে ঢাকার পথে এগিয়ে গেছেন হাজার হাজার যাত্রী। যাত্রী না পাওয়ার অজুহাতে গতকাল শনিবার রাতে বরিশাল নদী বন্দর থেকে কোন লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে যায়নি।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, যাত্রী আসলে লঞ্চ ছাড়বে। সেটা রাত ১২টা হোক আর ১টা হোক। রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত লঞ্চ চলাচলের অনুমতি আছে।
পহেলা আগস্ট সকল শিল্প কলকারখানা খোলার ঘোষণায় গতকাল শনিবার সকাল থেকে দক্ষিণাঞ্চলের পথে পথে ঢাকামুখি মানুষের ¯্রােত দেখা গেছে। কিন্তু লকডাউনের কারণে লঞ্চ-বাস বন্ধ থাকায় তারা ট্রাক, পিকাপ, থ্রি হুইলার, মোটর সাইকেল, নসিমন, করিমন, ট্রাক্টর এমনকি ভ্যানে ঢাকার পথে রওয়ানা হয়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। তাদের মধ্যে রয়েছেন নারী ও শিশুরাও। দুর্ভোগ সহ্য করে ঢাকার পথে এগিয়ে গেছেন তারা। দিনভর ঢাকামুখি মানুষের দুর্ভোগের পর গতকাল সন্ধ্যার পর বিআইডব্লিউটিএ এক বিজ্ঞপ্তিতে কারখানা শ্রমিকদের ঢাকা যাতায়াতের সুবিধার্থে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিমীত পরিসরে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয়। কিন্তু এই ঘোষণার পর বরিশাল নদী বন্দরে নোঙ্গর করে থাকা দূরপাল্লার ৮টি লঞ্চের একটিও ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়েনি।
বরিশাল-ঢাকা রুটের এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের সুপারভাইজার নজরুল ইসলাম খান বলেন, রাতে যখন তারা সরকারি ঘোষণা শুনেছেন ততক্ষণে ঢাকামুখি যাত্রীরা ঢাকার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন। এখন যাত্রী নেই। যাত্রী না থাকায় লঞ্চ ছাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
একই রুটের এমভি কীর্তনখোলা লঞ্চের সহকারি মহাব্যবস্থাপক বেল্লাল হোসেন বলেন, তারা লঞ্চ চালুর কোন খবরই জানেন না। তা ছাড়া নদী বন্দরে ঢাকামুখি কোন যাত্রী নেই। যাত্রী না থাকলে লঞ্চ ছাড়বেন কিভাবে।
লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রী কমিটির সহসভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, সরকার যখন এই ঘোষণা দিয়েছে তখন বরিশাল নদী বন্দর যাত্রী শূণ্য। তা ছাড়া লঞ্চের অনেক শ্রমিক-কর্মচারীও বাড়ি গেছেন। সরকারি ঘোষণাটা বিকেলে হলেও মাইকিং করে দেয়া যেত। তাহলে কিছু যাত্রী পাওয়া যেত। যাত্রী নেই, কর্মচারীরাও নেই। তাই বরিশাল নদী বন্দর থেকে লঞ্চ ছাড়ার কোন সম্ভাবনা নেইঅ
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সরকার ঢাকামুখি শ্রমিকদের পরিবহনের স্বার্থে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিমীত পরিসরে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। নদী বন্দরে যাত্রী আসলে লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাবে। যাত্রী না পাওয়া গেলে যাবে না।