সারা দেশে ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনায় উদীচী-বরিশাল নাটকের প্রতিবাদ

সারা দেশে ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনায় উদীচী-বরিশাল নাটকের প্রতিবাদ


নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে নারীকে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় হতবাক হয়েছে গোটা দেশ। এর সঙ্গে সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। সারা দেশে ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ হত্যার ঘটনা কমছে না। এসব ঘটনায় বাংলাদশে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বরিশাল জেলা সংসদ ও বরিশাল নাটক তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একই সঙ্গে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।

মঙ্গলবার উদীচী ও বরিশাল নাটকের পক্ষ থেকে দেওয়া এক প্রতিবাদলিপিতে সংগঠনদুটি উল্লেখ করেছে, কোথাও থেমে নেই নারীর প্রতি নির্যাতন, ধর্ষণ, বর্বরতা। শহর কিংবা গ্রাম, সর্বত্র বাড়ছে পাশবিক-নৃংশসতা। সিলেট থেকে বেগমগঞ্জ, উত্তরবঙ্গ থেকে চট্টগ্রাম-যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, ‘এখনও চলছে আদিম বর্বরতা’। সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত লাগাতার বর্বরতার ঘটনাগুলো মানুষের স্বাভাবিক জীবনে এবং সমাজে ফেলেছে নিরাপত্তাহীনতার কালো ছায়া। বাইরে বের হতে এখন নারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। একবিংশ শতাব্দীর উন্নত ও আধুনিক বিশ্বে ‘পাশবিকতার ঘোর অন্ধকার’ যেন দানবীয় থাবায় ঘিরে ফেলেছে নারীদের। বাঁচতে পারছে না শিশু, বিধবা, আদিবাসী ও প্রতিবন্ধী নারীরাও।

সম্প্রতি সিলেটের এমসি কলেজ এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ভয়ঙ্কর নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের মা-বোনেরা আজ মুক্তভাবে চলাফেরা করার স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলছেন। নারী নির্যাতনকারীরা অপরাধ করেও ধরা-েেছাঁয়ার বাইরে থাকছে। অনেককে আবার আইনের আওতায় আনা হলেও নানাভাবে তারা ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। ফলে পরিবার-দেশ নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়ছে।

উদীচী এবং বরিশাল নাটক মনে করে দেশে বিরাজমান বিচারহীনতার সংস্কৃতির জন্যই এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। নির্যাতনের ভয়ে নারী ঘরবন্দি হলে দেশের সকল খাতে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। তাই নারী ও শিশু সর্বোপরি সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্যাতন ও ধর্ষণকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বরিশাল জেলা সংসদ ও বরিশাল নাটক।