সারা দেশের সব নদী অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে বরিশালে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

সারা দেশের সব নদী অবৈধ দখলমুক্ত করা হবে বরিশালে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, দেশের মূল উন্নয়নে সংযুক্ত হতে নৌপথের বিকল্প নেই। সারা দেশে বিভিন্ন নদীর ৬০ হাজার অবৈধ দখলদার রয়েছে। ইতিমধ্যে ২০ হাজার অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়েছে।বরিশালের কীর্তনখোলা নদীসহ সারা দেশে নদীর অবৈধ দখলকারীদের হাত থেকে মুক্ত করা হবে। ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও চট্টগ্রামে নদীর অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদ অভিযান চলছে। 

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় বরিশাল সার্কিট হাউজে ‘বরিশাল বিভাগের নদী সমূহের নাব্যতা বৃদ্ধি, জলাবদ্ধতা হৃাস, জলাভূমি পুনরুদ্ধার, সেচ ও ল্যান্ডিং সুবিধা বৃদ্ধি করে নদী ব্যবস্থাপনার সম্ভব্যতা যাচাই’ শীর্ষক সমীক্ষার উপর এক কর্মশলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে  এসব কথা বলেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি আরও বলেন, নদী না বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে না। তাই দখলদারদের স্বেচ্ছায় সম্মানের সঙ্গে নদীর দখল ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। এই আহ্বানে সাড়া না দিলে নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নদী দখলদারদের দখলমুক্ত করতে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু যন্ত্রপাতি সংগ্রহ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি বলেন, দেশের মূল উন্নয়নে সংযুক্ত হতে নৌপথের বিকল্প নেই। নৌ পরিবহন সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় দেশের ৩১টি গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি নৌপথের ৪৭০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে খননের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার মধ্যে ক্যাপিটাল ড্রেজিং ৪২ মিলিয়ন ঘনমিটার। পরবর্তীতে এসব নৌপথে নাব্যতা বজায় রাখর জন্য ৭ বছর সংরক্ষণ ড্রেজিং করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার পরিমাণ ১৭০ মিলিয়ন ঘনমিটার। 

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম তালুকদার, বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন।

বিভাগীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত কর্মশালায় বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, পরিবেশবাদী সংগঠন ও গণমাধ্যম কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।