সোমার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন পুনাক সভানেত্রী

সোমার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলেন পুনাক সভানেত্রী

বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধি। মা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। তাদের একমাত্র কন্যা সোমা রায় এবার মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ন হলেও আর্থিক অনটনের কারনে তার উচ্চ শিক্ষা হয়ে উঠেছিলো অনিশ্চিত। এমন মানবিক আবেদনের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দৃস্টিগোচর হয় পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ’র সহধর্মীনি ও বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যান সংস্থার (পুনাক) সভানেত্রী জীসান মির্জার। প্রাথমিক খবরের সত্যাসত্য যাচাইয়ের পর দরিদ্র পরিবারের অসহায় ওই মেয়েটির পাশে দাড়িয়েছেন তিনি। তার দেয়া উপহার হিসেবে শনিবার বিকেলে সোমার হাতে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনীর পাঠ্য বই সহ নানা শিক্ষা উপকরন তুলে দেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বই ও উপকরন প্রদান অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, আগৈলঝাড়া থানার ওসি গোলাম সরোয়ার সহ সোমা রায়ের বাবা অশোক রায় এবং মা শিখা রানী উপস্থিত ছিলেন। 

সোমা রায়ের বাড়ি বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার বারপাইকা গ্রামে। তিনি এবার বারোপাইকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। তার মা বিভিন্ন বাড়িতে কাজ করেন। বাবা শারীরিক প্রতিবন্ধি। আর্থিক অনটনের কারনে তার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। 

এ বিষয়ে ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান বলেন, ওই মেয়েটির অসহায়ত্বে খবর গৃস্টিগোচর হওয়ার পর পুনাক সভানেত্রী বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে বলেন। জেলা পুলিশ সুপার যাচাই করে প্রকৃত অবস্থা পুনাক সভানেত্রীকে অবহিত করেন। এরপর তিনি ওই ছাত্রীর লেখাপড়ায় যাবতীয় সহায়তা করার ইচ্ছে পোষন করেন। গতকাল তার প্রেরিত বই ও অন্যান্য উপকরন সোমার হাতে তুলে দেয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি এবং পরবর্তীতে সোমার লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ পুনাক বহন করবে বলে জানান ডিআইজি। 

বই সহ অন্যান্য উপকরন উপহার পেয়ে ভীষণ খুশী সোমা রায়। তিনি পুনাক সভানেত্রীকে ধন্যবাদ জানান। আগামী দিনে সোমা পড়াশোনা একজন সৎ মানুষ এবং ডাক্তার হয়ে বঞ্চিত মানুষের সেবা করাতে চান তিনি।