স্পষ্ট কিছুই বললেন না ইভ্যালির রাসেল

তিন দিনের রিমান্ডের শেষ হলো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের। আজ সোমবার রিমান্ডের শেষ দিন ছিল। এদিন গুলশান থানা পুলিশ তাদের উভয়কে মুখোমুখী জিজ্ঞাসাবাদ করে বলে জানা গেছে।
একটি দায়িত্বশীল সূত্র গণমাধ্যমকে বলেছেন, এই জিজ্ঞাসাবাদে ইভ্যালির লেনদেনের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য দিলেও তারা স্পষ্ট করে কিছুই বলেননি। সেইসঙ্গে গ্রাহকদের সঙ্গে তারা প্রতারণা করেননি বলে দাবি করেন।
পুলিশের গুলশান বিভাগের একজন দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, দেনা-পাওনা ও ব্যবসার ধরনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলেননি তারা। অনেক বিষয়ে তাদের জবাব অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর। রাসেল বলেছেন, তার ব্যবসায়িক কৌশলে কিছু ভুল ছিল। করোনার কারণে লকডাউনে তিনি কিছুটা পিছিয়ে যান। তিনি এও বলেন যে, ‘তার স্ত্রী তথা ইভ্যালির চেয়ারম্যানের এসব বিষয়ে কোনো দায় নেই। আমার পরামর্শ অনুযায়ী সে (চেয়ারম্যান) কাজ করত।তার কোনো দায় নেই।’
এর আগে আরেকটি সূত্র বলেছিল, দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছিলেন রাসেল। কিন্তু গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকায় তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
প্রথম দিনের রিমান্ডে রাসেল দাবি করেছিলেন, ‘তিনি কোনো টাকা আত্মসাৎ করেননি, প্রতারণার প্রশ্নই ওঠে না। গ্রাহক জেনেবুঝেই ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার করেছে। যারা ডেলিভারি পায়নি ভবিষ্যতে টাকা পেয়ে যাবে। এখানে প্রতারণার কোনো বিষয় ছিল না।’
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় মামলা হয়। আরিফ বাকের নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক মামলাটি করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই র্যাব তাদের মোহাম্মদপুরের বাসায় অভিযান চালিয়ে রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার করে। গুলশান থানার ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে গত শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।