স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধের অঙ্গীকার

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধের অঙ্গীকার করেছে সরোবরমহল শিশু সেবা ও শিক্ষায়তন কর্তৃপক্ষ। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার সরমহল গ্রামে কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি ।
গত শুক্রবার, সরোবরমহল শিশু সেবা ও শিক্ষায়তনের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় স্থানীয়রা জানান এলাকার প্রায় প্রতিটি পরিবারের এক বা একাধিক শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর এমন দুঃসহ স্মৃতির কথা বলেন তারা।
সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (CIPRB)-এর হিসাবে উল্লেখ রয়েছে, বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ৩০টি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। বৃহত্তর বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চল তার মধ্যে শীর্ষে। প্রত্যন্ত সরমহল গ্রামটিও পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুপ্রবণ এলাকা।
সভায় কুশঙ্গল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান সরদারের সভাপতিত্বে ঐতিহাসিক ওই দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সরমহল পুনিহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁর সেই স্বপ্ন আজ বাস্তব। শিশু শিক্ষা ও শিশু মৃত্যুসহ প্রতিটি খাতে বাংলাদেশের সাফল্য বিশ্বের দরবারে আজ প্রশংসিত। পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে সরোবরমহল শিশু সেবা ও শিক্ষায়তনের এই উদ্যোগটিও আজ স্থানীয়দের কাছে প্রশংসিত। আগামীতে জাতীয় পর্যায়ে মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি নেতৃত্ব দিবে।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গ্রীণ লিফ প্রী ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান।