স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও কেন পুলিশ প্রহরায় পূজা করতে হবে

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও কেন পুলিশ প্রহরায় পূজা করতে হবে

স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও কেন পুলিশ প্রহরায় পূজা করতে হবে- এমন প্রশ্ন তুলেছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও কেন পুলিশ প্রহরায় পূজা করতে হবে? আর পুলিশ পাহারায় পূজা করে আমাদের বলতে হবে, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির। কেন বলতে হবে?’

শুক্রবার সন্ধ্যায় নগর ভবনের কেবি আবদুচ ছাত্তার মিলনায়তনে হিন্দু সমাজ কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত বস্ত্র ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন।

তিনি বলেন, ‘এটা তো সত্য কথা না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যদি অনন্য নজির থাকত তাহলে তো পুলিশ প্রত্যাহার করে, স্বাধীনভাবে যদি পূজার ব্যবস্থা করা যেত। তাহলেই বোঝা যেত সম্প্রীতির লেবেলটা কোন জায়গায়।’ পুলিশ প্রহরায় আয়োজন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির নয় বলে মন্তব্য করেছেন  তিনি।

সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ফিরলেও বঙ্গবন্ধু প্রণীত সংবিধানে ফেরা এখনো সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৭২ এর সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশের জন্যই আমরা লড়াই করেছিলাম।

বাংলাদেশের ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের সমস্যা একটি জাতীয় সংকট উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘এটা আমাদের সমস্যা নয়। এটা জাতীয় সংকট। একাত্তরের পরাজিত শক্তি আজও সক্রিয়। নানা ছদ্মাবরণে সরকারি দলের ভেতরে বাইরে অবস্থান করছে তারা। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন রক্ষা করতে হবে। আমাদের স্বার্থে নয়, দেশের স্বার্থে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রগতিশীল রাজনীতির পক্ষে সব ধরনের উগ্রবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে, সেটা হিন্দু উগ্রবাদী হতে পারে মুসলিম উগ্রবাদীও হতে পারে। সকল ধরনের উগ্রবাদের বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ় অবস্থান রাখতে চাই।’

পরিষদের উপদেষ্টা প্রীতম দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউনুস গণি চৌধুরী, জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদ সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা আশুতোষ দে, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দে প্রমুখ।