হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে বসতবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান লন্ডভন্ড তালতলী

বরগুনার তালতলী উপজেলার উপড় দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক বসতঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মন্দির লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। উপড়ে পরেছে কয়েক হাজার গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
জানাগেছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের চরপাড়া, গাবতলী, পশ্চিম গেন্ডামারা ও কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব গেন্ডামারা, কড়াইবাড়িয়া ও আলীরবন্দর এলাকার প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ী লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। টিনের চাল উড়িয়ে নিছে কড়াইবাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসা ও ছোটবগী গাবতলী দাখিল মাদ্রাসা। এ ছাড়াও বেহালা গ্রামের সার্বজনীন শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দিরের টিনের ছাউনি উপরে ফেলেছে। উপড়ে পরেছে কয়েক হাজার পাছপালা। বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে তার ছিড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা।
কড়াইবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলতাফ হোসেন আকন জানান, ইউনিয়নের মন্দির, মাদ্রাসাসহ অনেক বসতবাড়ি ভেঙ্গে গেছে ও গাছপালা উপরে পড়ছে।
ছোটবগী ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৌফিকউজ্জামান তনু বলেন, ঝড়ে অনেক ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙ্গে পরেছে। ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে তাদের তালিকা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতা করা হবে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সেলিম মিঞা বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলার বসতঘর ও গাছপালা উপড়ে পড়ার খবর পেয়েছি। চেয়ারম্যানদের কাছে তালিকা চাওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ রেজবি-উল-কবির জোমাদ্দার বলেন, আমরা করোনার দুর্যোগর নিয়ে এমনিতেই টেনশনে আছি। তার মধ্যে আবার কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে অনেক পরিবার। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।