হাসপাতাল-ক্লিনিকে অনিয়ম ঠেকাতে অভিযান

হাসপাতাল-ক্লিনিকে অনিয়ম ঠেকাতে অভিযান

দেশের অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিকের অনিয়ম ঠেকাতে স্বাস্থ্য খাতের অভিযান চলমান থাকবে এবং প্রয়োজনে আরও জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বিয়াম মাল্টিপারপাস হলে স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ আয়োজিত সমন্বিত স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল কার্যক্রমের আওতায় গবেষণা অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমাদের দেশে বর্তমানে ক্যানসারে দিনে প্রায় আড়াইশ’, হৃদরোগে আড়াইশ’, এমনকি সাপের কামড়েও দিনে প্রায় ১৫ জনের মতো মানুষ মারা যাচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ যেখানে বিশ্বে পঞ্চম স্থান অর্জন করেছে, দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে; সেখানে শব্দদূষণ, পরিবেশ দূষণে বাংলাদেশ এখনও বিশ্বের তলানির সারির দেশের কাতারেই আছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশ থাকতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিকভাবে মজবুত দেশ। অথচ দেশের এই সুন্দর সময়ে এসে মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটানো যাবে না—সেটি হতে পারে না। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে গবেষণা খাতে জোর দিতে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এই গবেষণার কাজকে খুবই তাৎপর্যের সঙ্গে দেখতে হবে। দেশের স্বার্থের কথা বিবেচনায় নিয়ে যে যে খাতে গবেষণা জরুরি, সেগুলো প্রায়োরিটি দিতে হবে। বর্তমানে মানুষের শ্বাসকষ্ট বেশি হচ্ছে, ক্যানসার, হৃদরোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এগুলোর পাশাপাশি দেশে শব্দদূষণ, পরিবেশ দূষণ খুব বেশি বেড়ে গেছে। এগুলো গুরুত্ব দিয়ে গবেষণা কাজ করতে হবে।’

গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওরস্যালাইন আবিষ্কারের আগে কেউ জানতো না এত সহজে এত বড় চিকিৎসা উপাদান আবিষ্কার করা যেতে পারে। অথচ এখন সহজেই জানা যাচ্ছে লবণ, পানি, চিনি মিশিয়ে ওরস্যালাইন বানানো যায়। এগুলো গবেষণার সুফল। তাই গবেষণা কাজে প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ বাড়ানো হবে। জাতীয় ইস্যুগুলো চিহ্নিত করে সঠিকভাবে গবেষণা কাজগুলো চালিয়ে নিতে হবে। এটি ঠিকভাবে করা গেলে এমডিজি অর্জনের মতো এসডিজি অর্জনেও আমরা সফল হতে পারবো।’

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব সাইফুল হাসান বাদলের সভাপতিত্বে সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন সমন্বিত স্বাস্থ্যবিজ্ঞান গবেষণা অ্যাওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেনসহ অনেকে।