হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার ওপর হামলা করে আ.লীগ

হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার ওপর হামলা করে আ.লীগ

আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই তারা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সাম্প্রতিক ঘটনা প্রসঙ্গে তিন বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘুদের যে ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ চাই, যারা খুন হয়েছে তার বিচার চাই।’

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাম্প্রদায়িক সহিংতাবিরোধী সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ র‍্যালি করে প্রেসক্লাব পর্যন্ত যাবো। কিন্তু সকাল থেকে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে জনগণের আন্দোলন থেকে দৃষ্টি সরাতে সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আজ সরকার দেশের সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে, প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। আমাদের সভা-সমাবেশ করতে দেয় না। এসব করছে তাদের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে।’

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে সরকার একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজার মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রেখে সেটা ভাইরাল করে একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছে। যখন জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন সরকার এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে অপমান করছে এই সরকার। আর গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।’

এ সময় নেতাকর্মীদের রাজপথে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সময়-সুযোগ পাবেন না। আপনারা প্রস্তুত থাকুন, যে কোনো সময় আন্দোলনের ডাক আসবে। আজকের মতো সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘গত কয়দিনে বাংলাদেশে যা ঘটেছে তা আপনারা দেখেছেন। যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে, জোর করে জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে, এটাই তাদের একমাত্র পথ। তারা এ ধরনের কাজ করে।’

তিনি বলেন, ‘এরশাদের যখন পতন হয়েছে, তখনো মন্দিরে হামলা হয়েছে। কিন্তু এরশাদ ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। এবারও মন্দিরে হামলা করে গদি টিকিয়ে রাখা যাবে না।’